কিশোরগঞ্জে আর্দশ মৎস্য খামারের পুকুরে বিষ দিয়ে ৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
https://www.obolokon24.com/2017/06/kisargang_29.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামে শত্রুুতামুলকভাবে আর্দশ মৎস্য খামারের একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল গভীর রাতে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।আর্দশ মৎস্য খামারের মালিক সোহরাব আলী জানান, তার এক একর জমির পুকুরটিতে তিনি দীর্ঘ দিন থেকে মাছ চাষ করে আসছেন। মাছ চাষ করে যা আয় করেন তা দিয়ে তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ের পড়াশোনা সহ সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ বহন করেন। মাছ চাষ করে আয় করে তিন বছর পুর্বে তিনি বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে নীলফামারী সরকারী ও রংপুর কারমাইকেল কলেজে অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করছেন এবং ছোট মেয়ে কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি গত বছর খামারের পুকুরটিতে ১০ মণ মাছের পোনা ছাড়াসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খাতে তার খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। আর মাত্র এক মাস পড়ে মাছগুলো বিক্রি করা যেত। এ অবস্থায় গতকাল গভীর রাতে কেবা কারা তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে । এতে পুকুরে চাষ করা রুই ,কাতলা, মৃগেল, সিলভারকাপ ,তেলাপিয়া,ও সরপুটিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে । বৃহস্পতিবার সকালে এ দৃশ্য দেখে ছেলেরা বিভিন্ন কেীশলে মাছগুলো বাঁচানোর চেষ্ঠা করলে কোন কাজ হয়নি।
সোহরাব আলীর ছেলে ও নীলফামারী সরকারী কলেজের অর্নাস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র নুর মোহাম্মদ সোনা মিয়া কান্নাজরিত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, আর্দশ মৎস্য খামার নামের এ পুকুরটিতে মাছ চাষের জন্য আমার বাবা, কৃষি ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, ও বেসরকারী এনজিও আশা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে মাছ চাষের জন্য তিন লাখ টাকা লোন নিয়ে তা মাছ চাষের জন্য ব্যায় করেন। আর মাত্র এক মাস পরে মাছগুলো বিক্রি করলে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হত। এখন মাছগুলো মরে যাওয়ায় ও ব্যাংকের লোন পরিশোদের চিন্তায় আমার বাবাসহ পরিবারের সবাই হতাশায় মুষরে পড়েছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলতাব হোসেন জানান, সোহরাব আলী উপজেলা মৎস্য অফিসের একজন তালিকাভুক্ত খামারী । সে দীর্ঘদিন থেকে মাছ চাষ করে আসছে। সে মাছ চাষের উপর স্থানীয় ভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত । তার পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন অত্যান্ত দুঃখজনক।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ জানান, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।