কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে ফাটল সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  জরুরী বিভাগে জীবনের ঝঁকি নিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম। প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনটি দেখে মনে হয় এটি কোন পরিত্যাক্ত ভবন।  মাঝে মধ্যেই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে মেডিকেলে আগত জরুরী রোগী ও ডাক্তারদের মাথার উপর। এছাড়া ছাদের উপরে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেওয়ায় রোগী ও ডাক্তারগন আতঙ্কে থাকেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য   কমপ্লেক্য্রের প্রধান সহকারী ( বড় বাবু) মোঃ আনোয়ারুল হক বকুলের কাছে এ সংক্লান্ত তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো লিখে কি হবে আমি কাজে আছি আমাকে ডিস্টাব না করে এখান থেকে বেড়িয়ে যান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের আগে পাকিস্তান সরকারের আমলে তৎকালিন খাদ্য, কৃষি,বন,ও সমবায় মন্ত্রি কাজী আব্দুল কাদেরের সহযোগিতায় প্রায় ৪ একর জমির উপর ৩১ শষ্যা বিশিষ্ঠ কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রটি নির্মান করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রটি নির্মানের পর হতে আজ অবধি কোন সংস্কার না হওয়ায় ভবনটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জরুরী বিভাগ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়টি একেবারেই ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৯ শে জুন  আওয়ামীলীগ সরকারের প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে ৩১ শষ্যা থেকে ৫০ শষ্যার নতুন ভবনের উদ্ধোধন করেন। তখন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রটিতে ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য ৫০ শষ্যার বরাদ্দ আসলেও শুধুমাত্র জনবল সংকটের কারনে ভবনটি অলস পড়ে আছে। তাছাড়া উপজেলায় প্রায় ৩ লাখ জনগনের সেবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রে ৯ জন ডাক্তারের পদ থাকলে মাত্র একজন ডাক্তার দিয়ে চলছে হাসপাতালটি। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার আশংঙ্খা দেখা দিয়েছে।
জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতালে ভর্তি পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের রোজিনা বেগম বলেন,হাসপাতাল মানুষের নির্ভরতার প্রতিক।  মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এই হাসপাতালের জরুরী বিভাগের যে অবস্থা তাতে যে কোন মুহুত্বে ছাদ ভেঙ্গে রোগী ও ডাক্তারের মাথায় পড়ে যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জরুরী বিভাগের ডাক্তার গোলাম মওলা জানান, ভাই জরুরী বিভাগের যে অবস্থা তাতে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে ডিউটি পালন করতে হয়। কখন যে ছাদ মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে কে জানে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাউল হাছান  বলেন,  এখানে আসার আমার মাত্র কয়েকদিন হলো। এসে দেখি হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, জরুরী বিভাগে বড় ধরনের ফাটল, এমনকি আমার অফিস জরাজীর্ণ সহ বিভিন্ন সমস্যা। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উদ্ধতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি।



পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 8155319785638024502

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item