কিশোরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের হাতে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত
https://www.obolokon24.com/2017/06/kisargang5.html
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (স্লিপ ফান্ডের) পরিকল্পনা জমা দিতে এসে তা যাচাইকালে ভুল হলে তা সংশোধন করে দিতে বলায় উত্তর দুড়াকুটি ময়দানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাহের মোঃ সাইফুর রহমান। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে ওই কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উত্তর দুরাকুটি ময়দান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামকে ২০১৭ সালের স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান এর পরিকল্পনা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার দুপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু জাহের মোঃ সাইফুর রহমানের কাছে আসলে তিনি পরিকল্পনার ফাইলটি দেখে পরিকল্পনায় ভুল আছে মর্মে তাঁকে সংশোধন করতে বলেন। সংশোধনের কথা শুনে প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন। তিনি মাটিতে পরে গেলে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তাঁকে মাটি থেকে টেনে তুলেন। পরে ওই প্রধান শিক্ষক তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে অফিস থেকে বেড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই অফিসারের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাহের মোঃ সাইফুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল । তিনি তদন্ত রিপোর্ট পক্ষে নেওয়ার জন্য আমাকে তদবির করতে বলেছিলেন। আমি তার কথা না শোনায় তিনি আমাকে সবার সামনে এভাবে লাঞ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান বলেন, আমি ওই সময় অফিসে ছিলাম না। কিন্তু পরে এসে ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এস মেহেদী হাসান বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।