জলঢাকায় পৌরসভার হাটে হচ্ছেটা কি ?

বিশেষ প্রতিনিধি-
নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভা ঐতিহ্যবাহি গরু/ ছাগলের হাটের খাস জমি সাব ইজারাদার কর্তৃক দখল করে ঘর নির্মান ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সচেতন নাগরিক সমাজে পক্ষে   উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায় ১৪২৪ বাংলা সালের জলঢাকা পৌরসভার হাটটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এক কোটি ২৫ লাখ টাকায় ইজারা প্রদান করেন সিয়াবুজ্জামানের নিকট। কিন্তু মুল ইজারাদার হাটটি নিজে পরিচালনা না করে জলঢাকার জামায়াত শিবিরের নেতা আমজাদ হোসেন ও জাকীর হোসেনের নিকট  এককোটি ৩০ লাখ টাকায় সাব ইজারাদারীতে বিক্রি করে দেয়।
আজ রবিবার হাটের দিন এ ব্যাপারে গরু ক্রয় ও বিক্রেতাদের এমন বেশ কিছু ব্যাক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়। তারা নাম প্রকাশ না করার সর্ত্বে বলেন প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার বিশাল হাটে গরু ছাগল বিক্রি হয়। জলঢাকা  এই পৌর হাটটি গরু ছাগল বিক্রির জন্য এলাকার বড় হাট। এখানে প্রতিহাটে শতশত গরু/ ছাগল বেচা কেনা হয়। তাদের অভিযোগ হাটের ইজারাদারদের মাস্তানবাহিনীর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। ফলে তারা নির্ধারিত টোলের চেয়ে বেশী আদায় করছে। তারা বলেন  গরু বিক্রির টোল ১৯০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা ও ছাগল ৬০ টাকার স্থলে ১৮০ টাকা করে জোড়পূর্বক আদায় করা হচ্ছে।
মজার বিষয় হাটে মাছ ধরার টেপাই বিক্রি হয় ১৫০ টাকা। অথচ তাদের টোল দিতে হয় এ জন্য ৪০ টাকা! কাঠের চৌকি বিক্রি হয় ৫শত/৬শত টাকা। টোল নেয় ২০০ টাকা। এ জন্য মগের মুল্লুকে পরিনত হয়েছে হাট ইজাদারের কাছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে গলা ধাক্কা খেতে হয়।
এ ছাড়া মাংস বিক্রির সেট করা আছে হাটে। কিন্তু ওই সেট গুলো দখল করে আড়ৎ করা হয়েছে। সেটের আবার পজিশনও বিক্রি করা হয়। একজন মন্তব্য করে বললেন মনে হয় তারা হাটের ভেতর প্রবেশে হয়তো প্রতি মানুষের চলাচলে ২০ টাকা করে টোলের আদেশ যে কোন মুহুর্তে¡ চালু করতে পারে।
এ ব্যাপারে জলঢাকা পৌরসভার সচিব আশরাফুজ্জানের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান আমরাতো সাব ইজারাদারদের চিনিনা। মুল ইজারাদার হলো  সিয়াবুজ্জামান। তিনি হাটটি এক কোটি ২৫ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন।
এদিকে ইজারাদার সিয়াবুজ্জামানকে খুঁজতে গিয়ে জানা যায় এই নামের কোন ইজারাদারের কোন অস্তিত্ব নেই। ওই নামে হাটের ইজারাদী পরিচালনা করেন  দুইজনের। এরা হলো জামায়াত নেতা আমজাদ হোসেন ও  সাবেক শিবির নেতা জাকীর হোসেন মুকুল। এই দুই ইজাদারের মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলে তারা রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন গত বৃহস্পতিবার অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সাব ইজারা নেওয়ার পর থেকে ওই  সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারী নির্ধারিত টোলের চাইতে নিজেদের ইচ্ছামত অতিরিক্ত টোল আদায় করছে ঐ সিন্ডিকেট। অভিযোগপত্রে হাটের সিন্ডিকেটদের দুর্বৃত্ত আখ্যা দিয়ে হাটের সরকারী খাস জমি দখল করে ঘর নির্মানের  অভিযোগ করেন তারা। পৌরসভার সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে  অভিযোগকারী সফিকুল ইসলাম পলাশ ও লাভলুর রশীদ বলেন প্রাচীন এই হাটটি জামাত শিবিরের কিছু নেতাকর্মীর দখলে চলে গেছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8653165045119802549

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item