সুন্দরগঞ্জে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে উচ্ছেদ ॥

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি ঃ

    সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনিরাম গ্রামে এক নিরীহ পরিবারের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করেছে এক প্রভাবশালী পরিবার। উচ্ছেদের শিকার রোস্তম খাঁ ওই গ্রামের মৃত ওসমান খাঁনের পুত্র। ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘদিন থেকে ওই গ্রামের মৃত ভুলকু শেখের পুত্র নুর আলম ওরফে ভুট্টু শেখের সাথে রোস্তম খাঁর জমি-জমার বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে প্রভাবশালী ভুট্টু শেখ যে খতিয়ান ও দাগের জমি  পাবে সেখানে না দিযে অন্য খতিয়ান ও দাগের ৪ শতক জমি বুঝে দেন রোস্তম খাঁকে। সেখানেই রোস্তম খাঁ বসতবাড়ি করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু গত ৬ মাস পূর্বে ভুট্টুর নামে ওই জমি নয় বলে ভুট্টুর আপন দুই ভাই শাহ আলম শেখ ও লাল মিয়া শেখ রোস্তম খাঁর বাড়ি সরানোর চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় রোস্তম খাঁ বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ গ্রামবাসীর কাছে বিচার প্রার্থনা করে। এর প্রেক্ষিতে ৪/৫ বার শালিস বৈঠক বসে। শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক  এলাকাবাসী যে দাগ খতিয়ানে রোস্তম খাঁ জমি পান সেখানেই ৪ শতক জমি বের করে দেন। এরপর রোস্তম খাঁ এলাকাবাসীর কর্তৃক দখল করে দেয়া জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। নতুন বাড়ি করার ৬ মাস যেতে না যেতেই গত ২৮ মে দুপুর বেলা ভুট্টু শেখ তার লোকজনসহ রোস্তম খাঁর বসতবাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বসতবাড়ি পুড়ে ছাড় ক্ষার করে উচ্ছেদ করে রোস্তম খাকে। অগ্নিসংযোগকারি ৩ ভাইয়ের দল এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি কেউ। অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ি ভস্মিভূত হওয়া রোস্তাম গত ১১ জুন সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেন। এজাহার দাখিলের পর এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা খুজে পান। কিন্তু মামলাটি এখনো রেকর্ড ভুক্ত হয়নি। এরপর থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান রোস্তম খাঁর জমি বুঝে দেয়ার জন্য বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদার উপর দায়িত্ব দেন। চেয়ারম্যান সফল হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। এরপর রোস্তম খাঁ গত শনিবার (১৭ জুন) পুনরায় থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিচার প্রার্থনা করেন। বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর রোস্তম খাঁ স্ত্রীসহ তার মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে উঠেছেন। কোন কোন রাত রাস্তায়ও কাটিয়ে দেন বলে জানান রোস্তম খাঁ। থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান ঘটনাটি আপোস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু না হওয়ায় আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করাহচ্ছে। এখন রোস্তম খাঁ কি বিচার পাবে সে জন্য থানার দিকে তাকিয়ে আছে এলাকাবাসী। এর আগে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের পর রোস্তম খা বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাড়িতে অভিযোগ দিতে গেলে বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জহুরুল বদরগঞ্জ থানার এসআই শাহজাহান (ভূট্টুর শ্যালক) হওয়ায় সে সুবাদে রোস্তম খার সাথে অমানবিক আচারণ করে তারিয়ে দেন ফাড়ি হতে। বর্তমানে রোস্তম খা রাস্তায় ও মেয়ে জামাইর বাড়িতে রাত্রী যাপন করে চলেছেন। এলাকাবাসী জিজ্ঞাসা রোস্তম আলী তার বসতভিটাসহ বাড়ির পোড়ানো ঘটনায় বিচার পাবে কি!

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 5878591834677643313

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item