নীলফামারী জেলায় বিদ্যুতের এ কি হাল?

বিশেষ প্রতিনিধি ১০ জুন॥
নীলফামারীতে দিনে রাতে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে জেলাবাসী। এমন বিভ্রাটে পবিত্র রমজানে অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার রোজাদারেরা। গতকাল শুক্রবার (৯ জুন) রাত থেকে শুরু করে ওই বিভ্রাটের আরো অবনতি হলে আজ শনিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
গ্রাহকদের অভিযোগ, রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে মাস শুরুর আগে কয়েকদিন পর পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে সরবরাহ লাইনের সংস্কার কাজ করেন বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু সমস্যার তেমন উন্নতি হয়নি। গতকাল শুক্রবার রাতু থেকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আরো অবনতি হলে তা আজ শনিবার অব্যাহ থাকে।
গ্রাহকরা জানান, গতকাল শুক্রবার রাত সারে ১০টার পর থেকে সারা রাত বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় কাটে। এমনকি সেহেরী সময়ও বিদ্যুৎ না থাকায় ককষ্ট করে সবাইকে সেহেরী করতে হয়। এর পর আজ শনিবার ভোর চারটা ৫০ মিনিটে বিদ্যুৎ আসলেও সারাদিন আসা যাওয়া করে।
শহরের কালিবাড়ি মোড়ের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (৫৫) বলেন, রোজা শুরুর আগে থেকে বিদ্যুতের সমস্যা চলছে, এর পরেও রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তারা সংস্কার কাজের অজুহাতে প্রায় সময় মাইকিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখেন ঘন্টার পর ঘন্টা। আশা করেছিলাম রমজান মাসে হয়তো বিদ্যুতের সমস্যা হবে না। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তারাছাড়া যেটুক সময় থাকে তাতেও লোভোল্টে। রোজার মাসে প্রচন্ড গরমে ফ্যানের গতি বাড়ছে না।
বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা আসগার আলী (৫৫) বলেন, রোজার আগে সংস্কারের কথা শুনে মনে হয়েছিল উন্নতি হবে। কিন্তু এখনো মেঘ ডাকলেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়। বিদুৎ না থাকলেও অতিরিক্ত বিলের বোঝা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
শহরের শাহিপাড়ার কাজল (৪০) বলেন, আমার এনালগ মিটার সচল আছে। ওই সচল মিটারটিও তারা পরিবর্তন করে ডিজিটাল মিটার স্থাপনের চাপ দিচ্ছে। এখন সেটি পরিবর্তন না করায় মিটার রিডিংএর চেয়ে অতিরিক্ত বিল প্রদান করছে। আমরা অতিরিক্ত বিল দিচ্ছি কিন্তু বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
পিডিবি সূত্র জানায়, জেলার পাঁচ উপজেলা ও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে পিডিবির ৫২ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রয়োজন ৩০ মেঘাওয়াড বিদ্যুৎ। এর আগে সৈয়দপুর-নীলফামারী মূল সরবরাহ তারের ত্রুটির কারণে ১৮ মেঘাওয়াডের বেশি বিদ্যুৎ নেওয়া যেত না। বর্তমানে পরীক্ষামুলকভাবে নতুন সরবরাহ লাইন চালু করার পর সে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়েছে। এখন ট্রান্সফরমার কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, শীঘ্রই সেটিও সমাধান হবে।
নীলফামারী বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ সরকার বলেন, অত্যাধিক গরমের কারণে জেলার ৫২ হাজার গ্রাহকের জন্য এখন বিদ্যুতের চাহিদা ৩০ মেঘাওয়াড। আগে পুরাতন সরবরাহ লাইনের কারনে ১৮ মেঘাওয়াডের বেশি নেওয়া যেত না। এখন নতুন সরবরাহ লাইন পরীক্ষামুলক চালু হওয়ার পর ওই সমস্যা গেছে। কিন্তু সৈয়দপুর সাব স্টেশনের দুটি ট্রান্সফরমারে ২৩ মেঘাওয়াড এর বেশি বিদ্যুৎ নেয়া যাচ্ছে না। একারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া আরেকটি ট্রান্সফরমারের ত্রুটি কারণে গতকাল শুক্রবার রাত ও আজ শনিবার সারাদিন সমস্যা হয়েছিল। সেটি মেরামত করে বিকেল চারটার দিকে চালু করা হয়েছে। সেখানে নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হলে সমস্যা হবে না।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7475589428831643966

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item