কিশোরগঞ্জে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ নিয়ে চরম নৈরাজ্য
https://www.obolokon24.com/2017/06/drag.html
কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন
সরেজমিনে কয়েকটি ওষুধের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানে ওষুধের দামের কোন তালিকা নেই। দোকানদার যে দাম বলছে সেই দামেই ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছে রোগীরা। অনেক গরীব মানুষ ওষুধের অতিরিক্ত দামের কারনে ঠিকমতো ওষুধ কিনতে না পেরে চিকিৎসা নিতে পারছেনা। এতে করে সাধারন রোগগুলো অনেক সময় জটিল রোগে পরিণত হচ্ছে।
সুত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ কেমিষ্ঠ অ্যান্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির লাইসেন্সভুক্ত ফার্মেসী রয়েছে ৩০ টি। আর লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসী ২ শতাধিক। এসব ফার্মেসী উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে মানুষের চিকিৎসা সেবায় ভুমিকা পালন করলেও তারা অসহায় গরীব রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়েও চড়া দামে ওষুধ বিক্রি করছে। এমনকি ফার্মেসীর মালিকরা ডাক্তারের পরামর্শ (ব্যাবস্থাপত্র) ছাড়াই রোগীদের মৌখিকভাবে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে হাই এন্টিবায়েটিক ওষুধ দিয়ে চড়া দাম নিচ্ছেন। পরবর্তীতে হাই এন্টিবায়েটিক দেয়ার কারনে রোগ বৃদ্ধি পেয়ে অনেকেই সর্বশান্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ কেমিষ্ট এ্যান্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারন সম্পাদক ও এইচ এম ফামের্সীর মালিক শাহিন মিয়া জানান, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় লাইসেন্সভুক্ত ৩০ থেকে ৩৫ টি ফার্মেসী রয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক। এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
উপজেলা কেমিষ্ট এ্যান্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি ও স্বপন মেডিসিন ফার্মেসীর মালিক রেজাউল ইসলাম স্বপন বলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী যে সকল ওষুধ ফার্মেসীর লাইসেন্স আছে ওষুধ কোম্পানির লোকজন শুধু তাদের কাছে ওষুধ বিক্রি করবে। কিন্তু ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা লাইসেন্স বিহীন ওষুধ ফার্মেন্সীতে ওষুধ দেয়ার কারনে গরীব রোগীরা বেশি দামে ওষুধ ক্রয় করে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উত্তম কুমার রায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন আগে উপজেলা কেমিষ্ট এ্যান্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতির কাছে ওষুধ ফার্মেসীর দোকান মালিকদের নামের তালিকা নিয়েছি। খুব শ্রীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।