ডোমারে আরএমপি নারী শ্রমিকদের ধাওয়ায় প্রকৌশলীর পলায়ন?
https://www.obolokon24.com/2017/06/domar93.html
বিশেষ প্রতিনিধি ১৯ জুন॥
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার দশ ইউনিয়নের এলজিইডির আওতায় আরএমপি প্রকল্পের (রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোডমেইনটেনেস কর্মসূচী-২) নারী শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান। আজ সোমবার ওই নারীদের ২০১৬ সালের চার মাস বেতনের আতœসাতকৃত ১৮ লাখ ফেরত দেয়ার কথা ছিল। নারী শ্রমিকরা এসে টাকা না পেলে উক্ত প্রকৌশলীকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় উক্ত প্রকৌশলীর পক্ষ নিয়ে স্থানীয় বেশ কিছু ঠিকাদার সহ ওই সব নারী শ্রমিকদের হুমকী দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু নারীকে লাঞ্চিত করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার দুপুর হতে এ ঘটনার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকাল সাড়ে ৫টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ সময় ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উক্ত আরএমপি প্রকল্পের সার্ভেয়ার আব্দুস সামাদ মোবাইলে প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে আগামী ২১ জুন (বুধবার) উক্ত টাকা ফেরত দেয়ার লিখিত অঙ্গিকার করে দেয়। এ ঘটনাটি ডোমারে তোলপাড় সৃস্টি করেছে।
উল্লেখ যে এর আগে এমন ঘটনা নিয়ে চলতি বছরের গত ১৪মে/২০১৭ অবলোকন২৪ডটকমে “ডোমারে আরএমপি নারী শ্রমিকদের চার মাস বেতনের ১৮ লাখ টাকার হদিস মিলছে না” শিরোনামে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই নারীদের বেতনের টাকা ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। আজ সোমবার (১৯ জুন) এই টাকা নারী শ্রমিকদের ফেরত দেয়ার কথা ছিল।
ডোমার উপজেলার এলজিইডির আওতায় আরএমপি প্রকল্পের ১০টি ইউনিয়নে ১০জন করে সর্বমোট একশত জন নারী শ্রমিক গত ৩ বছর হতে ইউনিয়ন ভিত্ত্বিক কাঁচা সড়ক সংস্কারে মাটির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে দেড় শত টাকা করে দিন হাজিরা হিসাবে মাসে সাড়ে চার হাজার করে মজুরীর বেতন পেয়ে থাকে। এর মধ্যে একশত টাকা নগদ এবং ৫০টাকা দলের ব্যাংক একাউন্ডে জমা রাখা হয়। ৪ মাস অন্তর অন্তর তাদের বেতন দেয়া হয়। এরমধ্যে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর টু ডিসেম্বর চার মাসের ১৮ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা এসে দাঁড়ায়। তাদের বলা হয় ওই চার মাসের বেতন জমা হয়নি। কিন্তু নারী শ্রমিকরা ডোমার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাদের একাউন্টে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর টু ডিসেম্বর মাসের ১৮ লাখ টাকা ইতোমধ্যে উত্তোলন করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন নারী শ্রমিকরা আমাকে ভুল বুঝছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের মধ্যে সুপারভাইজার সুশীল কুমার রায় ও নাজিমুল ইসলাম লিমনের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। এ ছাড়া নাজিমুল ইসলাম লিমনকে চাকুরী হতে অব্যাহতি দেয়া হয়। অপর জন সার্ভেয়ার আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী বলেন আমি পালিয়ে যাইনি। আমি পাকা রাস্তার কাজে পরিদর্শনে ছিলাম। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন আমি কোন ঠিকাদারদের নারী শ্রমিকদের হুমকী দিতে পাঠায়নি। কারা গিয়ে কে কি করছে তা আমার জানা নেই। তবে আগামী ২১ জুন বুধবার নারী শ্রমিকদের বকেয়া চার মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে।
অবলোকন২৪ডটকমে প্রকাশিত সংবাদের লিঙ্কটি নিচে দেওয়া হলো।-“ডোমারে আরএমপি নারী শ্রমিকদের চার মাস বেতনের ১৮ লাখ টাকার হদিস মিলছে না”
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার দশ ইউনিয়নের এলজিইডির আওতায় আরএমপি প্রকল্পের (রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোডমেইনটেনেস কর্মসূচী-২) নারী শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান। আজ সোমবার ওই নারীদের ২০১৬ সালের চার মাস বেতনের আতœসাতকৃত ১৮ লাখ ফেরত দেয়ার কথা ছিল। নারী শ্রমিকরা এসে টাকা না পেলে উক্ত প্রকৌশলীকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় উক্ত প্রকৌশলীর পক্ষ নিয়ে স্থানীয় বেশ কিছু ঠিকাদার সহ ওই সব নারী শ্রমিকদের হুমকী দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু নারীকে লাঞ্চিত করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার দুপুর হতে এ ঘটনার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকাল সাড়ে ৫টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ সময় ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উক্ত আরএমপি প্রকল্পের সার্ভেয়ার আব্দুস সামাদ মোবাইলে প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে আগামী ২১ জুন (বুধবার) উক্ত টাকা ফেরত দেয়ার লিখিত অঙ্গিকার করে দেয়। এ ঘটনাটি ডোমারে তোলপাড় সৃস্টি করেছে।
উল্লেখ যে এর আগে এমন ঘটনা নিয়ে চলতি বছরের গত ১৪মে/২০১৭ অবলোকন২৪ডটকমে “ডোমারে আরএমপি নারী শ্রমিকদের চার মাস বেতনের ১৮ লাখ টাকার হদিস মিলছে না” শিরোনামে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই নারীদের বেতনের টাকা ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। আজ সোমবার (১৯ জুন) এই টাকা নারী শ্রমিকদের ফেরত দেয়ার কথা ছিল।
ডোমার উপজেলার এলজিইডির আওতায় আরএমপি প্রকল্পের ১০টি ইউনিয়নে ১০জন করে সর্বমোট একশত জন নারী শ্রমিক গত ৩ বছর হতে ইউনিয়ন ভিত্ত্বিক কাঁচা সড়ক সংস্কারে মাটির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে দেড় শত টাকা করে দিন হাজিরা হিসাবে মাসে সাড়ে চার হাজার করে মজুরীর বেতন পেয়ে থাকে। এর মধ্যে একশত টাকা নগদ এবং ৫০টাকা দলের ব্যাংক একাউন্ডে জমা রাখা হয়। ৪ মাস অন্তর অন্তর তাদের বেতন দেয়া হয়। এরমধ্যে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর টু ডিসেম্বর চার মাসের ১৮ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা এসে দাঁড়ায়। তাদের বলা হয় ওই চার মাসের বেতন জমা হয়নি। কিন্তু নারী শ্রমিকরা ডোমার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাদের একাউন্টে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর টু ডিসেম্বর মাসের ১৮ লাখ টাকা ইতোমধ্যে উত্তোলন করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন নারী শ্রমিকরা আমাকে ভুল বুঝছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের মধ্যে সুপারভাইজার সুশীল কুমার রায় ও নাজিমুল ইসলাম লিমনের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। এ ছাড়া নাজিমুল ইসলাম লিমনকে চাকুরী হতে অব্যাহতি দেয়া হয়। অপর জন সার্ভেয়ার আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী বলেন আমি পালিয়ে যাইনি। আমি পাকা রাস্তার কাজে পরিদর্শনে ছিলাম। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন আমি কোন ঠিকাদারদের নারী শ্রমিকদের হুমকী দিতে পাঠায়নি। কারা গিয়ে কে কি করছে তা আমার জানা নেই। তবে আগামী ২১ জুন বুধবার নারী শ্রমিকদের বকেয়া চার মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে।
অবলোকন২৪ডটকমে প্রকাশিত সংবাদের লিঙ্কটি নিচে দেওয়া হলো।-“ডোমারে আরএমপি নারী শ্রমিকদের চার মাস বেতনের ১৮ লাখ টাকার হদিস মিলছে না”