ডিমলায় বিমাতা শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ পুত্রবধুর বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিনিধি ৮ জুন॥
বিমাতা শাশুড়ি মেহেরুন বানুকে(৫০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধু নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর পুত্রবধু পালিয়ে গেছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের শালহাটি গ্রামের এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় পুলিশ মেহেরবানুর মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত মেহেরবানু উক্ত গ্রামের আফতার আলী টসার দ্বিতীয় স্ত্রী ও একই জেলার জলঢাকা উপজেলার তালুক গোলনা গ্রামের মৃত আকালু মামুদের মেয়ে।
জানা যায় আফতার আলী টসার প্রথম স্ত্রী ১০ বছর আগে রোগভোগে দুই ছেলে সন্তান রেখে মৃত্যু বরন করে। এরপর আফতার আলী টসা মেহেরবানুকে বিয়ে করে । বাড়িতে পুর্বের স্ত্রীর বড় ছেলে শহিদুল ইসলাম স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেটে থাকলেও দ্বিতীয় ছেলে শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে নিয়ে বাবা ও বিমাতা মায়ের সঙ্গেই থাকতো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বিমাতার সঙ্গে প্রায় পুত্রবধু নার্গিস আক্তারের ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে পুনরায় ঝগড়া লাগে। এ নিয়ে হাতাহাতির এক পর্যায়  পুত্রবধু নার্গিস আক্তার বিমাতা শাশুড়ির গলা চিপে ধরলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ অবস্থান মরদেহ সারারাত ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে গলায় দড়ি দিয়ে বিমাতা শাশুড়ি মেহেরুন বানু আতœহত্যা করেছে বলে প্রচারনা চালানা হয়।
আফতার আলী টসা সাংবাদিকদের বলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মেহেরনবানু তাকে বলেছিল সে বুধবার দুপুরে বাবার বাড়ি যাবে। তিনি বিকালে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে পাননি। তার ধারনা ছিল স্ত্রী বাবার বাড়ি গেছে। কিন্তু সকালে জানতে পারি বাড়িতে তার লাশ। তাই পুলিশকে খবর দিলে ছেলের বউ নার্গিস আক্তার পালিয়ে যায়।
এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি রহস্যজনক হিসাবে অখ্যায়িত করে লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় থানায় নেয়। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই পালিয়ে যায় পুত্রবধু নার্গিস আক্তার।
 ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার জেলার মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করা হবে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8518591903263235468

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item