ডিমলায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে গিয়ে প্রেমিকা শ্রীঘরে

বিশেষ প্রতিনিধি ১০ জুন॥
বিয়ের দাবীতে পুলিশ সদস্য প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়ার অপরাধে প্রেমিকা কলেজ ছাত্রীকে শ্রীঘরে যেতে হলো!

অভিযোগে জানা যায়, স্কুলে লিখাপড়াকালিন ডিমলা সদর ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের ছেলে  নারায়ন চন্দ্র রায়ের (২২) সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠেছিল ডিমলা হাইস্কুল পাড়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে সূবর্ণা রানীর (২০)। মেয়েটি ডিমলা মহিলা কলেজ হতে  চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। আর গত দুই বছর আগে পুলিশের কনষ্টবল পদে চাকুরী পায় প্রেমিক নারায়ন চন্দ্র। সে বর্তমানে ঢাকা ডিএমপিতে কর্মরত।

 মেয়েটির অভিযোগ দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পকের কারনে তাদের মধ্যে দৈহিক সর্ম্পক ছিল। নিয়মিত মোবাইলে কথা ও প্রেম চলতো। গত চারদিন আগে তার প্রেমিক পুলিশ সদস্য নারায়ন ছুটিতে বাড়িতে আসে। প্রেমিক নারায়নের  কথা মতো সে শুক্রবার (৯ জুন) রাত আটটার দিকে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। এ সময় তার প্রেমিককে তাদের পরিবারের লোকজন সু-কৌশলে ভাগিয়ে দিয়ে প্রেমিক নারায়নের পরিবারের সদস্যরা তাকে দড়ি দিয়ে বেঁেধ শারিরিক নির্যাতন চালায়। এরপর ডিমলা থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে আটক করে রাতেই থানায় নেয়। মেয়ের মতে সে আতœহত্যা করতে চায়নি। সে প্রেম ও দৈহিক সর্ম্পকের বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক নারায়নের কথা মতো তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রবেশ করেছিল।

প্রেমিক পুলিশ সদস্য নারায়নের বড় ভাই সজল কুমার রায় অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন তার নানা অনিলচন্দ্র রায় একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় তার ভাই নারায়ন চন্দ্র রায় পুলিশ সদস্যের চাকুরী পায়। কিন্তু তার ভাইয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের কোন প্রেমের সর্ম্পক ছিলনা। এমনকি তার ভাই ছুটিতে বাড়িতেই আসেনি। সে কর্মস্থল ঢাকায় অবস্থান করছে। অথচ মেয়েটিকে একজন প্রভাবশালী মোটরসাইকেলে করে নিয়ে আমাদের বাড়িতে অনাধীকার জোড়পূর্বক প্রবেশ করিয়ে দিয়ে চলে যায়। তিনি আরো বলেন  মেয়েটি  আমার ভাই নারায়নের সঙ্গে বিয়ে না দিলে আতœহত্যার হুমকী দেয়। ফলে আমি বাধ্য হয়ে ডিমলা থানায় খবর দেই। পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নেয়।

এদিকে মেয়েটির বাবা রমেশ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন আমার মেয়ের এখন কি হবে। সত্য বাস্তব ঘটনাটি একটি মহল ভিন্নখাতে নিয়ে গেছে। পুলিশ আমাদের কোন কথাই শুনেনি। তারা ছেলে পক্ষের হয়ে আমার মেয়েকে হয়রানী করছে।

ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন শেখ জানান মেয়েটি যেহেতু একটি বাড়িতে জোড়পূর্বক প্রবেশ করে সেখানে আতœহত্যার চেস্টা করছিল। তাকে রক্ষায় সেখান হতে  উদ্ধার করা হয়। এরপর মেয়েটির অভিভাবককে ডেকে তাদের মেয়েকে তাদের জিম্মায় দেয়ার চেস্টা করা হয়। কিন্তু মেয়েটির অভিভাবকরা মেয়েটিকে গ্রহন করেনি। ফলে এ ঘটনায় ডিমলা থানায়  একটি জিডি (নম্বর ৪৬৩) দায়ের করা হয়। ওই জিডি মুল্যে মেয়েটির নিরাপদ হেফাজতে রাখার জন্য সুপারিশ করে আদালতে প্রেরন করা হলে আদালত মেয়েটিকে নিরাপদ হেফাজতের জন্য জেলা কারাগারের  প্রেরন করে। এ সময় আদালত হতে মেয়েটিকে নিজ হেফাজতে নেয়ার জন্য আবেদন করেনি তার পরিবার। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1791170013210271032

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item