তিস্তা সেচ ক্যানেলে মাছের চাষ বিষয়ক মতবিনিময়

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৫ জুন॥
দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজ সেচ ক্যানেলে মৎস্য বিভাগের উদ্দ্যেগে কার্প জাতীয় মাছ চাষ নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা  ডালিয়াস্থ্য অবসর ভবনের সম্মেলন কক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যৌথ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানানো হয় নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও নীলফামারী সদরের ৪টি উপজেলার তিস্তার প্রধান সেচ ক্যানেলের  ১৩টি অংশে এসব মাছের চাষ করা হচ্ছে। তিস্তার সেচ ক্যানেলের ৭৯ কিলোমিটার সেচ ক্যানেলে ২৬৮ দশমিক ৫ হেক্টর ক্যানেলে উপকারভোগীর সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৩৪৭ জন। এই মাছ চাষের ফলে বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছি। এতে করে মানুষের আমিষের চাহিদা পূরন সহ তিস্তা কমান্ড এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। আর মাছ বিক্রির লাভের অংশ সরকারের পাশাপাশে সুবিধাভোগীরা একটি অংশ পাবেন।

রংপুর পওর সার্কেল-২ তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষের সভাপতিত্বে ওই সভায় অংশ নেন মৎস্য অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক রফিক উদ্দিন বিশ্বাস, সহকারী পরিচালক অদ্বৈত চন্দ্র রায়, দিনাজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ ইমাম জাফর ছাদেক, নীলফামারীর মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল ওহায়েদ মন্ডল, ডিমলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, জলঢাকা মৎস্য কর্মকর্তা মিনারা হাফিজা ফেরদৌস, খানসাম মৎস্য কর্মকর্তা আন্না রানী দাস, পাউবোর প্রধান সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম, উপ-প্রধান সম্প্রসারন কর্মকর্তা অমলেশ চন্দ্র রায়, ডালিয়া পাউবোর সম্প্রসারন কর্মকর্তা রফিউল বারী, তিস্তা যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শামসুজ্জোহা, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক প্রমুখ।মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের আরো জানানো হয় তিস্তার সেচ ক্যানেলে কার্প জাতীয় মাছের পোনা ডিমলায় ১ হাজার ৬৬৬ দশমিক ৬৬ কেজি, নীলফামারী সদরে ১হাজার ৪০ কেজি, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৬৬ কেজি ও জলঢাকা উপজেলায় ৩ হাজার ৩৩৩ দশমিক ৩৩ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুটি, গ্রাস কাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা।
কর্মসুচীর আওতায় তিস্তার সেচ ক্যানেলের সিল্ট ট্রাপ থেকে নাউতরা সুইচ গেট, নীলফামারীর হরিশচন্দ্র পাঠ থেকে চাঁদেরহাট, চাঁদেরহাট থেকে কুখাপাড়া, কুখাপাড়া থেকে সোনারায়, জলঢাকার দুন্দিবাড়ী থেকে বগুলাবাড়ী, নাউতরা থেকে দুন্দিবাড়ী, দুন্দিবাড়ী থেকে হরিশচন্দ্র পাঠ, মাথাভাঙ্গা থেকে কাজীরহাট, কাজীরহাট থেকে কৈমারী ও কিশোরগঞ্জের বড়ভিটা থেকে রাজিব, রাজিব থেকে চন্ডিমন্ডপ, রাজিব থেকে গাড়াগ্রাম ও বগুলাগাড়ি থেকে বড়ভিটা অংশে মাছের চাষ করা হচ্ছে।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5499740993877666612

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item