এবার মেধাবী রহিমার দায়িত্ব নিলেন নীলফামারী ডিসি


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৭ জুন॥ নীলফামারী সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে অনিশ্চয়তায় পড়া দরিদ্র এসএসসিতে জিপিএ-৫ গোল্ডেন পাওয়া মেধাবী ছাত্রী রহিমা খাতুনকে। আজ বুধবার দুপুরে রহিমা খাতুন ও তার বাবা হাওয়াই মিঠাই ও কটকটি বিক্রিতা আব্দুর রহমানের হাতে কলেজে ভর্তি ও কলেজ পোষাকের জন্য সদর উপজেলা পরিষদে ইউএনও শেখ মুহাঃ বেলায়েত হোসেন নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করে। পাশাপাশি নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রাহীম দরিদ্র মেধাবী রহিমার এইচএসসিতে পড়াশোনাকালীন প্রতিমাসে দুই হাজার করে টাকা খরচ বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রহিমা খাতুনকে নিয়ে অনলাইন পত্রিকা অবলোকন২৪ডটকম এ ৯ মে “ ডাক্তার হতে চায় মেধাবী রহিমা কিন্তু গরীব বাবার নেই সাধ্য” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে রহিমার লিখাপড়ার খরচ বহনের দায়িত্ব নিলেন ডিসি। 
নীলফামারীর সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে দিনাজপুর বোর্ডের গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে পায় রহিমা খাতুন। সে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুটি গ্রামের আব্দুর রহমান ও শিল্পী বেগমের মেয়ে। সে ডাক্তার হবার স্বপ্নে এইচএসসিতে ভর্তির জন্য নীলফামারী সরকারী কলেজে সুযোগ পেয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও পক্ষ থেকে একটি বাইসাইকেল, ব্যাগ, বই, খাতা, কলম, কলেজ ড্রেস, জুতা সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামী মেধাবী ছাত্রী লাবণ্যর বাসায় গিয়ে তার হাতে তুলে দেন।
একটি পরিবেশক কোম্পানীর ভ্যানচালক কর্মচারী শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কলোনী মহল্লার লোটন খন্দকারের মেয়ে লিমানা খন্দকার লাবণ্যকে নিয়ে অনলাইন পত্রিকা অবলোকন২৪ডটকম এ ৭ মে “গরীবের ঘরে অদম্য মেধাবী লাবণ্য আইনজীবী হতে চায়” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে (২০১৭) এসএসসি মানবিক বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-পাঁচ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্রী লাবণ্য। তারও লিখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক। এ নিয়ে অবলোকন২৪ডটকম এ ৩০ মে “মেধাবী লাবণ্যের দায়িত্ব নিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, দরিদ্র মেধাবী মেয়েটিকে নিয়ে অবলোকন’এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের খবর জানতে পেরে সহযোগীতা করা হলো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম জানান, অনেক টাকা আমরা বিভিন্ন ভাবে খরচ করে ফেলি। দরিদ্র মেধাবীদের পাশে দাড়িয়ে সহায়তা দরকার। যাতে করে ভবিষ্যতে মানুষ হতে পারে তারা। অসহায় মেধাবী মেয়ে দুইটির  পাশে থাকবো আমি।

অবলোকন২৪ডটকমে লাবণ্য ও রহিমা’র প্রকাশিত সংবাদের লিঙ্কগুলো নিচে দেওয়া হলো
ডাক্তার হতে চায় মেধাবী রহিমা কিন্তু গরীব বাবার নেই সাধ্য
গরীবের ঘরে অদম্য মেধাবী লাবণ্য আইনজীবী হতে চায়  

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2873737553719674494

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item