সৈয়দপুরে ভোট কেন্দ্র হতে বিএনপি ও জামায়াতের দুই কর্মী আটক

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৬ মে॥
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন ভোটগ্রহনের সময় দুই ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে। এরা হলো খলিলুর রহমান (৪৫) নামের এক জামায়াতকর্মী ও বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম(৩৮)। এদের মধ্যে খলিলুর রহমানকে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খলিশা বেলপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ও দুপুর সারে ১২টায় ধলাগাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র হতে এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ভ্রাম্যমান টিমের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট  আহমেদ মাহবুব-উল ইসলাম। আটককৃতরা ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেস্টা করছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। 
এলাকাবাসীর মতে উপ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আটক খলিলুর  স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সৈয়দপুর পৌর জামায়াতের আমির আবদুল মুনতাকিমের (আনারস) সমর্থক ও আটক বিএনপি নেতা রফিকুল বিএনপি প্রার্থী শওকত হায়াত শাহ (ধানের শীর্ষ) সমর্থক।
উল্লেখ যে, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা হতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিরতীহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে দুপুর  ১টা পর্যন্ত উপজেলার ৭১ ভোট কেন্দ্রে গড়ে ২০ ভাগ ভোট পড়েছে।
সরেজমিনে জানা যায় এলাকায় বোরো ধান ও বিভিন্ন রবি ফসলের মৌসুমে কৃষক পরিবার গুলো ফসলের মাঠে ব্যস্ত থাকায় ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা কম। তবে বৃদ্ধ ও নারী ভোটাররা বিক্ষিপ্ত ভাবে এসে ভোট প্রদান করছে।
চলতি বছরের ১ মার্চ সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাওয়াদুল হক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করলে পদটি শুন্য ঘোষনা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর তফসিল ঘোষনা অনুয়ায়ী মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই বাছাই, প্রত্যাহার ও ২৫ এপ্রিল প্রতিক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা চালায়। 
উপ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন (নৌকা), বিএনপির শওকত হায়াত শাহ (ধানের শীর্ষ), জাতীয় পার্টির ইলিয়াছ চৌধুরী (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নূরুল হুদা (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের আবদুল মুনতাকিম (আনারস)। তবে সাধারন ভোটারদের মতে ত্রিমুখী লড়াই হবে আঃলীগ, বিএনপি ও জাপা প্রার্থীর মধ্যেই।
এদিকে নীলফামারীর নবাগদ জেলা প্রশাসক খালেদ রহিম ও পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে জানান সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন চলছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উপ নির্বাচনের রির্টানীং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিন জানান সৈয়দপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৫০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯১ হাজার ৭২ ও নারী ভোটার ৯০ হাজার ৪৩৫। শহর এলাকায় অবাঙালি (বিহারি) ভোটার রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। পৌরসভা ও ইউনিয়ন মিলে মোট ৭১টি ভোট কেন্দ্রের  ৪৪০টি ভোট কক্ষ স্থাপন করায় ভোটাররা দ্রত প্রদান করে চলে যেতে পারছে।
এদিকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহনে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে জেলা পুলিশের ডিআইও ওয়ান আব্দুল মোমিন জানান ৭১টি ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৫৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায়  ভোট কেন্দ্র ও ভোট কেন্দ্রের বাহিরে অস্ত্রধারী ৭১ জন পুলিশ অফিসার, ২৮৪ জন পুলিশ সদস্য এবং ৮৫২ জন আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। প্রতি ভোট কেন্দ্রে একজন অফিসারের নেতৃত্বে ৪ জন কনস্টেবল ও ১২ জন আনসার সদস্যসহ মোট ১৭ জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া একজন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে ৬ সদস্য করে ১৪টি মোবাইল টীম মাঠে সার্বক্ষনিক টহল দিচ্ছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০টি ও পৌর এলাকায় ৪টি মোবাইল টীম দায়িত্ব পালন করছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কয়েকটি টীম নির্বাচনী মাঠে রয়েছে। এছাড়া ২০ জন করে ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে। প্রস্তুত রয়েছে রিজার্ভ ফোর্সের কয়েকটি গ্রুপ। অপরদিকে পুলিশের পাশাপাশি তিন প্লাটুন করে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে।



পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5739791250709146523

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item