কিশোরগঞ্জে ধান সংগ্রহ অভিযানের চুক্তিতে আগ্রহ নেই মিল মালিকদের

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
২ মে থেকে সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের কথা থাকলেও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে তাও অনিশ্চিত। চালকল মালিক ও ব্যাবসায়ীরা বলছেন, সরকার যে দর দিয়েছে তাতে এ মৌসুমে চাল দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। বর্তমানে বাজারে মোটা চালের দামই ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা। আর সরকার দর নির্ধারন করেছে ৩৪ টাকা। ৪ টাকা লোকসানে চাল দেওয়ার কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী গত ২ মে থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরুর কথা । কিন্তু এখন পযন্ত মিল মালিকদের সাথে চুক্তি করা হয়নি। চুক্তি করার সময় আছে। আগামী ১৩ তারিখের মধ্যে মিল মালিকদের চিঠি দিয়ে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হবে। চুক্তি করার আগে তা সম্ভব নয়। এবারে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাল কেনা হবে ৩৫৮ মেট্রিকঁটন। খাদ্য অফিসের তালিকাভুক্ত  মিলারের সংখ্যা ২৫ জন।
মেসার্স রফিকুল ইসলাম রাইচ মিলের মালিক ও উপজেলা মিল চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি আনজু মনোয়ারা বেগম বলেন, দেশের যে সব জেলায় মোটা ধান উৎপাদন হয় অনেক অনেক জায়গায় তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তার উপর সরকার রেট দিয়েছে ৩৪ টাকা আবার বর্তমান মোটা চাল বাজারে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেউকি ৪ টাকা থেকে ৬ টাকা কেজি করে লস করে চাল দেবে।
মেসার্স জাহাঙ্গীর আলম ব্রাদার্স হেচকিং মিলের মালিক ও  মিলচাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংগ্রহ অভিযান শুরু করার জন্য মিল মালিকদের সাথে আলোচনা করে চুক্তি সম্পাদক করার কথা । সেই আলোচনায় মিল মালিকদের অবস্থা তুলে ধরা হবে। তাছাড়া ধানের বাজার চড়া এ অবস্থায় চাল উৎপাদনেই খরচ পড়ছে বেশি। সেখানে মিল মালিকরা এতো লোকসান গুনতে চাইবেনা। দেখা যাক কি হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খায়রুল আলম বলেন, আগামী ১৩ তারিখে মিল মালিকদের সাথে আলোচনা করে সিদান্ত নেওয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7758703151870436914

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item