কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে রংপুর নগরীর মুলাটোল বাজার ঘেষা পুকুরের সৌন্দর্য

হাজী মারুফ-
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে রংপুর নগরীর মুলাটোল বাজার ঘেষা পুকুরের সৌন্দর্য।এক সময় এই পুকুরে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষজন গোছলসহ পানি ব্যবহার্য কাজকর্ম সেরে নিতো। শতবছরের পুরাতন এই পুকুরেই কয়েক যুগ হতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রতীমা বিসর্জন হয়ে আসছিল। প্রতি বছর দূর্গোৎসব এলেই পুকুরটির চারপাশ ঘিরে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। কিন্তু এখন পুকুরটি বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর হওয়ার ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ক্রমশ মশার বংশ বিস্তার বাড়ছে। জনদুর্ভোগ প্রতিনিয়তই নিত্যসঙ্গি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষজন পুকুরের পাশ দিয়ে চলাচল করলেই নাকে রুমাল দিতে হচ্ছে। কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা পুকুর ঘেষে দখল করে। অনেকে দোকানঘর আবার জায়গা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘেরাদিয়ে স্থাপনা গড়ে তোলার মহোৎসবে মগ্ন হয়ে উঠেছেন। যার ফলে পুকুরের প্রস্থ দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাড়ছে জনমনে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা।


এদিকে মোস্তাফিজুর রহমান বিপু’র অনুপ্রেরণায় আশরাফুল ইসলাম ডিউক, জাহিদ, আকাশ, এ্যাড.আরিফ  রিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় ব্যাক্তিদের

সহযোগীতায় পুকুরের পাশে একটি মিনি পার্ক তৈরী করা হয়েছিল। এতে গাছ লাগানো, পানির ঝর্না স্থাপনসহ মনোরম পরিবেশ তৈরী করেছিল। তৈয়ব মার্কেট জামতলার সামনে কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিদের কারণে তা বিলীন হয় । কিন্তু বিলীন হয়ে যায়নি রোপন করা গাছগুলো। এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে কয়েকটি গাছ।
এদিকে, পুকুরের জায়গা দখলমুক্ত করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা অপসারন পূর্বক পুকুরটি রক্ষা করার জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মুলাটোল সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন আচার্য্য, সহ: সভাপতি তপন মহন্ত, মানিক দত্ত, বিশ্বজিৎ দাস বিষু, সাধারন সম্পাদক পদ্ম কিশোর পাল লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক জীবন দাস, কোষাধ্যক্ষ সুমন দাস ফটো সাংবাদিক রনজীৎ রায়, এছাড়া জগদীশ, নিত্যানন্দ, অজয়, সুমন, শিতল, সমর, বিযুষ, গনেশ, রমেশ, বিশ্ব, লিটন দেবনাথ শুভ, শুব্রত, আকাশ, গোবিন্দ, রক্তীম, কৃষ্ণ, অনুপ, অরুণ, রতু, অনিক, রিদয়, সুশুময়, তনু, রুমন, আশু, সঞ্জয়, জগদীস, জীবন চন্দ রায় প্রমুখ।
এব্যাপারে পালপাড়ার বাসিন্দা উৎপল দে বাপ্পী বলেন, পুকুরটি বহু প্রচীনতম নিদর্শন। এখানে প্রতি বছর প্রতীমা বিসর্জন করা হয়। পুকুরটি ছোট হয়ে গেলে প্রতীমা বিসর্জন কার্যক্রম বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এজন্য পুকুরটা রক্ষা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। এজন্য সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহবান জানান।
অপরদিকে, পুকুরের জায়গা অবৈধভাবে নিজের নিয়ন্ত্রনে রেখে দোকানপাট দেয়ার ঘটনা মোটেও কাম্য নয়, পুকুর রক্ষা করা জরুরী হয়ে পড়েছে এমন দাবি জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডঃ সাজেদ হোসেন তাতা, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আকতারুজ্জামান লিটু, বর্তমান ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান, মুলাটোল দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবু বকুল দেওয়ান সিনিঃ সভাপতি আব্দুল্লাহ সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদ, মহানগর যুবলীগের ১ম যুগ্ন আহবায়ক ইসমাইল হোসেন সাজু, যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজার রাখতে মুলাটোল পুকুর রক্ষা করা জরুরী। পুকুরটি সংরক্ষনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি সভাপতি এ্যাডঃ রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা বলেন, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে ।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পুকুর সৌন্দয্য বৃদ্ধির জন্য এলাকাবাসীদের এগিয়ে আসতে হবে ।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, আমি শুনেছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8391263329237012354

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item