কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার, নাটকীয়ভাবে এক আসামী আটক

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি॥

অপহরনের পর এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৭) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার সকালে একটি ভুট্টা ক্ষেত হতে মেয়েকে রক্তাত্ব ও বিবস্ত্র অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মেয়েটির জবানবন্দী অনুযায়ী চারজন এ কাজ করেছে। পুলিশ এদের মধ্যে নাটকীয়ভাবে একজনকে আটক করেছে। মেয়েটি উক্ত উপজেলার ভেড়ভেড়ি বিএস  মাদ্রাসার অষ্টম  শ্রেনী ছাত্রী ও উপজেলার পুটিমারী মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক আবু বক্কর ও শিউলী বেগমের সন্তান।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কেশবা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে রাজমিস্ত্রী শাহিনুর (২৫) এর সঙ্গে ছাত্রীটির পূর্ব পরিচয় ছিল। ঘটনার দিন রবিবার বিকালে মাদ্রাসা হতে বাড়ি ফেরার পথে উক্ত শাহিনুর মেয়েটিকে তার অপর তিন সঙ্গী সহ অপহরন করে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালায় ও পুলিশকে অবগত করে। এ অবস্থায় রবিবার সকাল আটটার দিকে পাশ্ববর্তী খুটামারা ইউনিয়নের হরিণচন্দ্রপাঠ গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেতে বিবস্ত্র ও রক্তাত্ব অবস্থায় মেয়েটিকে পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে মেয়েটির অভিভাবক সহ এলাকাবাসীরা মেয়েটিকে সেখান হতে উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগীতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে মেয়েটি রাজমিস্ত্রী শাহিনুর সহ চারজন তাকে রাতর‌্যাপী গণধর্ষন করে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে।
এদিকে গণধর্ষনের শিকার মেয়েটি যখন হাসপাতালে তখন নাটকিয়ভাবে সেখানে এক আসামীকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন একজন রং মিস্ত্রী সৈকত ওরফে ভেলু মিয়ার পা কেটে যাওয়ায় সে সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ভর্তি হয়। ওই মেয়েটি তাকে দেখতে পেয়ে জানালে পুলিশ তাকে তাৎক্ষনিকভাবে আটক করে। আটক সৈকত উপজেলার কেশবা গ্রামের তহিজুল ইসলামের ছেলে। আটকের পর পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপর দুই আসামীর নাম পরিচয় উদঘাটত করতে সক্ষম হলেও তারা আতœগোপনে থাকায় তাদের আটক করতে পারেনি। তারা কেশবা গ্রামের উক্ত রাজমিন্ত্রী শাহিনুরের চাচাতো ভাই রাজু আহমেদ ও তাদের রাজমিস্ত্রীর সহযোগী সবুজ মিয়া।
হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ গাওছুল আযম জানান মেয়েটি  চিকিৎসা চলছে।  প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে তার।কিশোরগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান বাকী তিন আসামীকে আটকের চেস্টা চলছে।#