সুন্দরগঞ্জে কাল বৈশাখীতে ঘর-বাড়ি, গাছপালা, ধান, পাট ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

সুন্দরগঞ্জে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি, গাছপালা, ধান ও পাট ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির আঘাতে পাটের আগা ভেঙ্গে ও থেতলে গেছে। ধান ঝড়ে পড়েছে জমিতে। প্রতিদিন বৃষ্টি হলেই দমকা হাওয়া লেগেই আছে। এরকম বৈরী আবহাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ি, গাছপালা লন্ডভন্ড হয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে খোর্দ্দা, লাটশালা, চর তারাপুর, সুন্দরগঞ্জ বাজার, বেলকার চরাঞ্চল, কাপাসিয়া, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ী, শোভাগঞ্জ, গংসার হাট, কছিম বাজার। এসব এলাকায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ লাইন ছিন্ন হওয়ায় গতকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কাল বৈশাখী ঝড়ে আধাপাকা ঘর-বাড়ি, গাছপালা লন্ডভন্ড হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। ঘরের উপর উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছপালা। খোজ নিয়ে জানা গেছে, শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান ও পাট ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের নবী বকস জানান, তার শয়ন ঘর উড়ে নিয়ে অন্য জায়গায় ফেলেছে। ওই গ্রামের জবেদ আলী জানান, একটি বড় আম গাছ তার ঘরের চালের উপর উপড়ে পড়েছে। এতে তার ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসলের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় অফিস আদালতসহ বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীলরা দারুণ বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। উপজেলার সুমাইয়া আধুনিক কম্পিউটারের প্রোপাইটার শফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় কোন কাজ করতে পারছি না। শান্তিরামের কৃষক রশিদ মিয়া জানান, তার পাকা ধান শিলাবৃষ্টির তোড়ে ঝড়ে পড়েছে। এতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, যে পরিমাণ ফসল ঘরে তুলতে পারতাম এখন তার এক চতুর্থাংশ ফসল ঝড়ে পড়ায় কৃষিতে এবার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। রামজীবন গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, এক দিকে ব্লাস্ট রোগে ধান চিটা হয়েছে । তার উপর কাল বৈশাখীর ছোবল ও শিলাবৃষ্টিতে ধান ঝরে পড়েছে। বেলকা চরের কৃষক আহসান হাবিব জানান, শিলাবৃষ্টির কারণে তার পাট ক্ষেতের আগা ভেঙ্গে ও থেতলে গেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায় ব্লাস্ট রোগের জন্য কৃষকদের মাঝে পরামর্শপত্র প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. গোলাম কিবরিয়া জানান, শোভাগঞ্জ বাজারে গাছ উপড়ে পড়ায় তা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের সৃজনশীল কৃষক ও উপজেলা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. শামছুল হক জানান, কৃষিতে ব্লাস্ট রোগের কারণ হিসেবে বীজ বাহিত রোগের কারণে ধান ক্ষেতে কৃষকের মারাতœক ক্ষতি হয়েছে। যত্রতত্র ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গছিয়ে উঠা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির অনুমতি ছাড়া বীজ ব্যবসায়ীদের কারণে।

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 7560261062522227082

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item