সুন্দরগঞ্জে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মামলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মামলা নিয়ে এলাকায় চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
    বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিরখামার গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল গফুর মন্ডলের পুত্র আমিনুল ইসলামের বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে পরদিন আমিনুল ইসলাম থানায় একটি মামলা করেন (সুন্দরগঞ্জ থানার মামলা নং-২২/২০১৭)। অন্য একটি তুচ্ছ ঘটনার সূত্র অনুযায়ী চলে আসা বিরোধের জের ধরে ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামী করেন। এব্যাপারে কয়েক দফা কথা হলে মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম বলেন- সরকারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ৪/৫ জন গভীর রাতে তার বাড়ির পিঁছনে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। স্বাক্ষীদেরসহ তাদেরকে আটকাতে না পারলেও চিনেছেন। উত্তর-পশ্চিম-দক্ষিণ দিক থেকে ইউ টাইপের বাড়িটির পূর্ব-উত্তর আংশিক প্রাচীরে ঘেরা দক্ষিণ দুয়ারী বাড়িটির গেইট আবদ্ধ রেখে পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তের কক্ষে ঘুমিয়ে থেকে আগুনের লাভা দেখে তিনি সবাইকে নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বৈদ্যুতিক আগুনের কারণে কেউ তা নেভাতে সাহস পায়নি। বাদীর এ বক্তব্যের সঙ্গে মামলার আরজি বর্ণিত অভিযোগে ব্যাপক গড়মিল থাকলেও অন্য বিষয়ে আসামীদের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক-ওয়াজেদ আলীসহ অন্যান্য ৩ শিক্ষিকা বলেন- বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আরও ২/৩ মাস আছে। তাছাড়া, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। শুক্রবার বিকালে মামলার ২ নং স্বাক্ষী সাখাওয়াত হোসেন ওরফে লালা মিয়ার সঙ্গে মোবাইল-ফোনে কথা হলে, তিনি বাদীর কথা মতো মিথ্যা স্বাক্ষী দিবেন না। -এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন- বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করেন। বাদী অন্য শত্রুতা হাসিল করতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় করা মামলায় কোন অবস্থাতেই মিথ্যা স্বাক্ষী দিবেন না মর্মে মত প্রকাশ করেন। এরআগে মোবাইল-ফোনে কথা হয় ৪ নম্বর স্বাক্ষী বাদশা মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন- বাদীর বাড়ি থেকে তার বাড়ির দুরত্ব ৩শ’ গজের মত। বাড়িতে আগুন জ্বলে উঠার হৈ-হুল্লা শুনে আগুন নেভাতে যান তিনি। এরআগে দুপুর আড়াইটার দিকে মোবাইল ফোনে কথা হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান- মনোয়ার আলম সরকার বলেন- অগ্নিকান্ডের পরদিন সকালে সরেজমিনে গিয়ে বাড়ি পুড়ে যাওয়া দেখেছেন। বাড়ির মালিকসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে। এখন শুনেছেন থানায় নাকি মামলা করেছেন বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা- কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ-মোক্তারুল ইসলাম বলেন- মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 2958426187438902544

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item