সুন্দরগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ঝুঁকিবহ ভবন নিয়ে শঙ্কা

নুরুল আলম ডাকুয়া,  সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি::

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন হস্তান্তরের আগেই অত্যন্ত ঝুঁকি বহন করছে। ফলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নব-নির্মিত ভবনটি নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি নদ-নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ পৌরসভাসহ ১৫ টি ইউনিয়ন মিলে বৃহৎ আয়তাকার এ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন কোন উন্নত নয়। এছাড়া, নদ-নদী প্রবাহিত হওয়ায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগের ফলে কোথাও কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে রংপুর অথবা গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় উপজেলাবাসীকে। এতে তেমন কোন উপকারে আসে না। ফলে প্রতি বছর  অগ্নিকান্ডে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ দুর্ঘটনা থেকে উপজেলাবাসীর সুবিধার্থে পৌর শহরের পশ্চিম বাইপাস নামক স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনে সরকারীভাবে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ায় ব্যাপক অনিয়- দুর্নীতির মাধ্যমে একটি ভবন নির্মাণ করেন ঠিকাদার। ভবনটি নির্মাণে ব্যপক ত্রুটিজনিত কারণে এর পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের বিশেষ অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধূর্ত ঠিকাদার কৌশলে ঐ ফাটল মিশিয়ে পাশের ওয়ালের সঙ্গে লোহার রডে টানা দিয়ে কাজ সমাপ্তি দেখান। এতে করে ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকি বহণ করছে বলে এই ভবন হস্তান্তর হচ্ছেনা। কারণ, ঝুঁকিপূর্ণ ঐ ভবনে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব বলে বিবেচিত হওয়ায় কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি কয়েক দফা মুঠোফোণে কথা হলে ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন- ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে ভবনটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে প্রাক্কলিত ১ কোটি ১১ লাখ টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখনও ভবনটি বুঝে নিচ্ছে না। এরপর মুঠোফোণে রংপুর অঞ্চলের ফায়ার তৎকালীন সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক শেখ আসাদুজ্জামান বলেন, নব- নির্মিত ঐ ভবনটির অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা জনীত কারণে ঐ অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আব্দুল মজিদ সাহেবকে দেখা-শোনার দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে। তিনি তা দেখে-শুনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ গণপূর্ত বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এর আলোকে উপর থেকে কোন নির্দেশ না আসায় ভবনটি গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে  না। এ নিয়ে রংপুর অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সহকারী পরিচালক আব্দুল মজিদ বলেন- জনবল কাঠামোগত দিকে একটু সমস্যা তো আছেই। তাছাড়া, ভবনের দু’পাশের দেয়ালের সঙ্গে লোহার রড দিয়ে টানা দেয়ার পরও এই ভবনটি কতখানি নিশ্চয়তা বহণ করবে, তা দেখার বিষয়।

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 5149416982505495522

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item