সুন্দরগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ঝুঁকিবহ ভবন নিয়ে শঙ্কা
https://www.obolokon24.com/2017/05/gaibandha_37.html
নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি::
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন হস্তান্তরের আগেই অত্যন্ত ঝুঁকি বহন করছে। ফলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নব-নির্মিত ভবনটি নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি নদ-নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ পৌরসভাসহ ১৫ টি ইউনিয়ন মিলে বৃহৎ আয়তাকার এ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন কোন উন্নত নয়। এছাড়া, নদ-নদী প্রবাহিত হওয়ায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগের ফলে কোথাও কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে রংপুর অথবা গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় উপজেলাবাসীকে। এতে তেমন কোন উপকারে আসে না। ফলে প্রতি বছর অগ্নিকান্ডে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ দুর্ঘটনা থেকে উপজেলাবাসীর সুবিধার্থে পৌর শহরের পশ্চিম বাইপাস নামক স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনে সরকারীভাবে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ায় ব্যাপক অনিয়- দুর্নীতির মাধ্যমে একটি ভবন নির্মাণ করেন ঠিকাদার। ভবনটি নির্মাণে ব্যপক ত্রুটিজনিত কারণে এর পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের বিশেষ অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধূর্ত ঠিকাদার কৌশলে ঐ ফাটল মিশিয়ে পাশের ওয়ালের সঙ্গে লোহার রডে টানা দিয়ে কাজ সমাপ্তি দেখান। এতে করে ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকি বহণ করছে বলে এই ভবন হস্তান্তর হচ্ছেনা। কারণ, ঝুঁকিপূর্ণ ঐ ভবনে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব বলে বিবেচিত হওয়ায় কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি কয়েক দফা মুঠোফোণে কথা হলে ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন- ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে ভবনটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে প্রাক্কলিত ১ কোটি ১১ লাখ টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখনও ভবনটি বুঝে নিচ্ছে না। এরপর মুঠোফোণে রংপুর অঞ্চলের ফায়ার তৎকালীন সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক শেখ আসাদুজ্জামান বলেন, নব- নির্মিত ঐ ভবনটির অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা জনীত কারণে ঐ অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আব্দুল মজিদ সাহেবকে দেখা-শোনার দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে। তিনি তা দেখে-শুনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ গণপূর্ত বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এর আলোকে উপর থেকে কোন নির্দেশ না আসায় ভবনটি গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে রংপুর অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সহকারী পরিচালক আব্দুল মজিদ বলেন- জনবল কাঠামোগত দিকে একটু সমস্যা তো আছেই। তাছাড়া, ভবনের দু’পাশের দেয়ালের সঙ্গে লোহার রড দিয়ে টানা দেয়ার পরও এই ভবনটি কতখানি নিশ্চয়তা বহণ করবে, তা দেখার বিষয়।