মেয়েকে ফেলে পালিয়ে গেছে বিমাতা

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

স্বামীর সঙ্গে নিজের সুখের সংসার গড়তে মৃত সতীনের একমাত্র এগারো বছরের মেয়ে সুমাইয়া জান্নাতকে ফেলে পালিয়ে গেছে বিমাতা মনিরা বেগম। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ রেলস্টেশন বাজারের ভাই ভাই হোটেলের মালিক নিয়াজুল ইসলাম মেয়েটিকে পেয়ে তার বাড়িতে আশ্রয়  দিয়েছে। মেয়েটি তার বাবা আবু সায়েদ মোঃ বজলুর রহমান ওরফে লুৎফরের নিকট ফিরে যেতে যায়। কিন্তু তার বাবার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ বুধবার বিকালে এ ঘটনাটি তুলে ধরে মেয়েটি  জানায় সে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ফিরোজপুর গ্রামের তাদের বাড়ি। তার মা ফরিদা ইয়াসমিন মারা যাওয়ার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে মনিরা বেগমকে। বিমাতা তাকে দেখতে পারতোনা। সব সব মারপিট করতো। এ অবস্থায় সে চলতি বছর পিএসসি পরীক্ষায় পাস করে ষষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হয় নিজ এলাকার  মারছুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ অবস্থায় গত ১২ মে তার বিমাতা তাকে আতœীয়র বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ট্রেনে করে নিয়ে এসে উক্ত মিরজাগঞ্জ রেলস্টেশনে ফেলে পালিয়ে যায়।
সুমাইয়া জান্নাতের দেয়া তার পিএসপি পরীক্ষার রোল নম্বর দিয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ করলে তার কথা অনুযায়ী সব কিছু মিলে যায়। মেয়েটি জানায় সে আর বিমাতার কাছে যাবে না। তবে তার বাবার সঙ্গে থাকতে চায়। কিন্তু তার বাবার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
মিরজাগঞ্জ রেলষ্টেশন বাজারের ভাইভাই হোটেলের মালিক রিয়াজুল ইসলাম জানায় তিনি দেখতে পান একটি মেয়ে কাঁদছে।  তার খিদে পেয়েছে জানতে পেরে হোটেলে এনে ভাত খাওয়ার পর মেয়েটি তার কাহিনী তুলে ধরে। এরপর মেয়েটিকে তার নিজবাড়িতে এসে আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছে।
মেয়েটি তার বাবার কাছে যেতে চায়। কিন্তু তার বাবাকে তাদের এলাকায় পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই তিনি বিষয়টি ডোমার থানায় অবগত করেছেন।ডোমার থানার ওসি মকছেদ আলী বলেন বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3180117822933059179

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item