ডিমলায় এইচএসসিতে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২১ মে॥
ডিমলা উপজেলায় এইচএসসির অনলাইন ভর্তি রেজিস্টেশনে দশটি কলেজের নাম থাকার নিয়ম থাকলেও একটি মাত্র কলেজ শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম থাকায় তা বাতিলের দাবীতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মানববন্ধন করেছেন এলাকার “সোনাখুলি হাজ্বী জহরতুল্লাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়” এর এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে একই অভিযোগে ডালিয়া চাপানি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ডিমলার শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষের কারসাজিতে তারা অনলাইনে ভাল কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারছেনা।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় ডিমলা সদরের জেলা পরিষদ স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে প্রধান রাস্তায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে শতাধিক এইচএসসিতে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীগণ।
কর্মসুচি চলাকালিন শিক্ষার্থীরা জানায়, সোনাখুলি হাজ্বী জহরতুল্লাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পাস করে বিজ্ঞান বিভাগে ৪৭ ও মানবিক বিভাগে ৭৪জনসহ ১২১জন পরীক্ষার্থী। উক্ত স্কুল থেকে পাশ করা বায়েজিদ বোস্তামি অভিযোগ করে বলেন, আমারসহ অন্তত শতাধিক এইচএসসিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের অপেক্ষায় রয়েছি। কিন্তু অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে দেখা যায় নিয়ম অনুযায়ী দশটি কলেজের নাম থাকার কথা। কিন্ত মাত্র অনলাইনে ১টি মাত্র ডিমলার‘শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ পছন্দের তালিকায় রাখা হয়েছে। আর কোন কলেজের নাম নেই। এটি কারা কারসাজি করলো তা প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা ওই কলেজে ভর্তি হবো না। কারন ওই কলেজেটির লিখাপড়ার মান ভাল নয়। আমরা ভাল কলেজে ভর্তি হতে চাই।
তাই শিক্ষার্র্থীরা এইচএসসির ভর্তিতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে ডিমলার শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ ছাড়াও আরো অন্য কলেজের নাম সংযুক্ত করতে আমরা দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যারসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করছি।
শিক্ষার্থী অপু রায় বলেন, আমরা ধারণা করছি শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষ যোগসাজশে করে আমাদের তাদের কলেজে ভর্তি করে রাখতে চাইছে। আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে শুধুমাত্র ওই কলেজ মানিনা। আমরা ১০টি কলেজের নাম চাই। 
এ ব্যাপারের সোনাখুলি হাজ্বী জহরতুল্লাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ সজল জানান, তারা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে বেরিয়ে গেছে। এখন নিজেদের পছন্দশীল প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে কে বা কারা ঘটনাটি করেছে সেটি আমার জানা নেই। তবে ২৬মে পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগযোগ করার চেস্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ পাওয়া যায়।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি  বলেন, যারা এটি করেছেন তারা ঠিক করেনি। যেখানে ১০টি কলেজের নাম থাকার কথা সেখানে একটি কলেজের নাম থাকবে কেন।  বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8819342484294295836

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item