বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন

ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করে বলেছেন, ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন হয়ে গেছে। এখন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কও ৪ লেন হবে অতি দ্রুত।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার উখিয়া উপজেলায় ইনানী বিচে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত সুন্দর সমুদ্র সৈকত, কিন্তু কক্সবাজার সবসময় অবহেলিত ছিল। এটাকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করছি।’

সমুদ্র সম্পদকে অর্থনৈতিক কাজে লাগানোর উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য যা যা করার দরকার, তা আমরা করব।’

বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কক্সবাজারে প্রথম বেড়াতে আসার স্মৃতি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে কক্সবাজারের উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজার হবে উন্নত একটি জেলা, উন্নত পর্যটন, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বোয়িং চলাচলের উপযোগী হয়েছে, এখানে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট আসবে।

মেরিন ড্রাইভ তৈরি করতে গিয়ে যাদের ঘরবাড়ি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীর ওইপারে তাদের জন্য আলাদা বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। তারা মূলত শুঁটকি ব্যবসায়ী; তাদের জন্য শুঁটকি শুকানোর পৃথক জায়গাও করে দেয়া হচ্ছে।

যারা জায়গা দিয়েছেন তারা অর্থ অতি দ্রুতই পেয়ে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার হবে নতুন অঞ্চল, টার্মিনাল হবে। এটি পর্যটন কেন্দ্রই শুধু নয়, খেলাধুলার কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক খেলা হবে এখানে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফুটবল খেলার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

মেরিন ড্রাইভ তৈরির সময় পাহাড় ধসে দুর্যোগে ৬ জন সেনাবাহিনীর সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের গভীরভাবে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী, তিনি আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

ইনানী সৈকতের এই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, সড়ক বিভাগের সচিব এম এন সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ মেঘদূত এ চেপে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় কক্সবাজারের সম্প্রসারিত রানওয়ে ব্যবহার করে নামার পর বিমানবন্দরে বড় আকারের উড়োজাহাজ চলাচল উদ্বোধন করেন তিনি।

এরপর বেলা আড়াইটায় সমাবেশ স্থলে মঞ্চ থেকে উদ্বোধন করবেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের ১০০ শয্যার ছাত্রী হোস্টেল, একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষার হল, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ১০০ শয্যার ছাত্রী হোস্টেল, উখিয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবন, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন।

এ ছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করা হবে, বিমান বন্দর প্রকল্পের বাঁকখালী খালে ৫৯৫ মিটার খুরুশকুল ব্রিজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, এলএনজি টার্মিনাল, ইনস্টেলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুরিং, নাফ ট্যুরিজম পার্ক, কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) অফিস ভবন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 5473281206742342429

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item