কিশোরগঞ্জে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ৩৫ টি করাতকল

 মোঃ শামিম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে  ৩৫ টি করাতকল চলছে। এর মধ্যে সবগুলোই অবৈধ। বন বিভাগ বলছে নিয়ম অনুযায়ী এই করাত কল গুলোর অধিকাংশ অনুমোদন পাওয়ার যোগ্য নয়।আবার যে গুলোর যোগ্যতা আছে সেগুলোও লাইসেন্স করছেনা। তবে করাতকল মালিকদের দাবি জলঢাকা, সৈয়দপুর,কিশোরগঞ্জের বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মোনায়েম হোসেন ও ফরেষ্টার মুকুল হোসেন লাইসেন্স দেওয়ার নামে তিনহাজার করে টাকা নিয়ে লাইসেন্স দিচ্ছেন না।
উপজেলার করাতকল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করাতকল মালিকদের অনেকেই জানেননা লাইসেন্স করা কতটা জরুরি। তাই তারা লাইসেন্স করছেননা।  আর যারা লাইসেন্স করতে আগ্রহী তাড়া বন বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকতাদের খুসি করতে না পারলে লাইসেন্সের জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয় বলে জানান।
উপজেলার এক করাতকল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমি ২০০২ সালে আমার ছ মিলের লাইসেন্স করেছিলাম। তার পরে নবায়ন করতে চাইলে ফরেষ্টার মুকুল হোসেন আমার সাথে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে চুক্তি করে বলেন, আমি যতদিন এখানে আছি আপনাকে কিছুই করতে হবেনা। তিনি আরো বলেন মুকুল ভাই এখানে দীর্ঘ ৮ বছর থেকে কর্মরত আছেন তাই কোন চিন্তা নেই।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গদা গ্রামের বাসিন্দা ও মিনারুল করাতকলের মালিক  মোঃ মিনারুল হোসেন বলেন, তিন উপজেলার দায়িত্বে থাকা বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন ও ফরেষ্টার মুকুল হোসেন আমার কাছ থেকে লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে  তিনহাজার টাকা  ও একটি ফরম বাবদ ৫ শত টাকা নিয়ে  চলে গেছেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে একজন আরেকজনের কথা বলে এড়িয়ে যান। এছাড়াও করাতকল মালিক সাইদুল, মহুরুল, মইনুদ্দিন, আজাদুল সহ আরো অনেকেই তিন হাজার করে টাকা নিয়ে লাইসেন্স দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা ফরেষ্টার মুকুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলে করাতকল মালিকদের কাছ থেকে আমি কোন টাকা নেইনি। মোনায়েম সাহেব হয়তোবা কিছু টাকা নিয়েছেন। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারবোনা।
তিন উপজেলার দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য (০১৭১৭৫২৬৭৭৬) তার মোবাইলে কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান বলেন,  এই মুহুত্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে চলা করাতকল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া সুযোগ নেই । বিষয়টি বন বিভাগকে জানানো হবে তারা ব্যবস্থা নেবে।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item