বঙ্গবন্ধু বলতেন স্বাধীন হওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই'-প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ স্বাধীন করার প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগে থেকেই ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সব সময়ই বলতেন, স্বাধীন হওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই। আজ রবিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নবনির্মিত নিজস্ব ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হলেও পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিঃশেষ করে দিতে পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তারপর ইতিহাস পাল্টে গেল, অনেকে ঘোষক হয়ে গেল, যেন বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে দিল, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। কিন্তু জাতির জনক দীর্ঘ সংগ্রাম করে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার পর জাতির জনক দেশ গড়তে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি যা করেছেন, তার ওপর দাঁড়িয়েই ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশ গড়ায় মনোনিবেশ করে। ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার যে চেষ্টা করা হয়, তা আওয়ামী লীগ বন্ধ করে প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে। মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারেন তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। '

পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনে দেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিও বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় অভিযোগ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, 'একাত্তরের সেই ঘাতকদের আবার রাজনীতিতে নির্বাসিত করা হয়। কিন্তু আমরা সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। আমরা এমন সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছি, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করেছি। এজন্য রায় প্রদানকারী বিচারক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি। '

এসব বিচার সম্পন্ন হওয়ার মূল কৃতিত্ব জনগণের বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জনগণই আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে আমরা এ বিচার করতে পেরেছি।   এ জন্য জনগণকেও ধন্যবাদ জানাই। '

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জাতির জনকের নীতি অনুযায়ী আমরা বন্ধুরাষ্ট্রর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছি। আমরা স্থলসীমান্তে যে ছিটমহল সমস্যা ছিল তা সমাধান করেছি। সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছি। সমুদ্রসীমা জয় করেছি। কিন্তু কোনো বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি।

জনসাধারণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় এক একর জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ৯তলা ভবন নির্মিত হয়েছে। এ ভবনের এক লাখ ৮৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক প্রদর্শনে চারটি গ্যালারি রয়েছে। শব্দ ও আলোর প্রক্ষেপণের বিশেষ প্রদর্শনী থাকছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।

স্থপতি তানজিম হাসান সেলিমের নকশায় দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর জাদুঘর ভবনটি গড়া হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 8462341143217510355

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item