নতুন রূপে চালু হলো রূপসা-সীমান্ত
https://www.obolokon24.com/2017/04/rupsha_26.html
নিজস্ব প্রতিনিধি॥
নতুনরূপে সেজেছে নীলফামারীর চিলাহাটি-খুলনা- চিলাহাটি রুটে চলাচলকারী রূপসা ও সীমান্ত নামের দুটি আন্তনগর ট্রেন। ওই ট্রেন দুইটির পুরোনো ও জরাজীর্ণ লক্কড়ঝক্কড় কোচগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট চিলাহাটি হতে পুরোনো কোচের স্থলে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা সাদা রঙের লাল সবুজ টানা রেখা রঙ্গের ১২টি কোচ নিয়ে বিশাল ওই ট্রেনবহর (র্যাক) চলবে খুলনা-চিলাহাটি খুলনা রুটে। ট্রেন দুটির মধ্যে আসনসংখ্যা রাত্রিকালীন সীমান্ত এক্সপ্রেসে ৮৬৫টি ও দিনে রূপসা এক্সপ্রেসে ৮৯০টি। এর মধ্যে রাতে তাপানুকূল ২৩টি শয়ন আসন (বাথ) ও ৮০টি চেয়ার রয়েছে। অপর দিকে খুলনা হতে চিলাহাটি অভিমুখে ছেড়ে আসবে রাত ৯টা ১৫ মিনিটে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ও যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় রূপসা
ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে খুলনা রুটে চলাচল করত। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ট্রেন দুটির গন্তব্য পুনর্নির্ধারণ করা হয় সৈয়দপুর হতে ৫৫ কিলোমিটার দুরবর্তি নীলফামারীর সীমান্ত জনপদ ভারতের হলদিবাড়ি সংলগ্ন চিলাহাটি পর্যন্ত গন্তব্য সম্প্রসারণ করা হয়। যাত্রীবাহি কোচ সংকটের কারণে ওই ট্রেন দুটিতে জরাজীর্ণ কোচ ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এদিকে চিলাহাটি-রাজশাহী রেলপথে চলাচলকৃত আন্তঃনগর বরেন্দ্র ও তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেন দুইাটতেও পুরোনো লক্কর ঝক্কর কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ দুইটি ট্রেনেও নতুন কোচ সংযুক্ত করার দাবি করেছে যাত্রীরা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিটিও) শওকত জামিল মহসী বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সীমান্ত ও রূপসা এক্সপ্রেসে কোচ পরিবর্তন হয়েছে। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের অন্যান্য ট্রেনেও নতুন কোচ দেওয়া হবে।