রংপুরে পিবিআই’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে একতরফা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ আ’লীগ নেতার

হাজী মারুফঃ

জমি সংক্রান্ত বিরোধে ব্যবসায়িক ৩ পার্টনারের বিরুদ্ধে জনৈক এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ির প্রতারনা, হয়রানীর অভিযোগে আদালতে পিবিআই’র কর্মকর্তা এসআই নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে বাদীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে একতরফা দাখিল করা প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মুখরোচক সংবাদ প্রকাশ করার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, একতরফা প্রতিবেদন দাখিল ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্ত পূর্বক বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশনের দাবিতে গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ববক্তব্যে এমন অভিযোগ আনেন আ’লীগ নেতা জাকারিয়া আলম শিপলু।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ নেতা জাকারিয়া আলম শিপলু অভিযোগ করে বলেন, রংপুর তাজহাট মৌজার যাহার এস এ খতিয়ান নং-৯০৯, জেএল নং-৯৭, দাগ নং-৬৯৬ এর ৬৩ শতাংশসহ মোট জমির পরিমান ১৫৩ শতক। ৬৯৬ দাগের ৬৩ শতাংশ জমির জনৈক আঃ গফ্ফারের নিকট ৩২ শতাংশ এবং মজিবর রহমানের নিকট গত বিগত ১৯৬০ সালের ১০ মে ১৮৬৫৬ নং  দলিল মূলে  এসএ রেকর্ডীয় জমির মালিকগন বিক্রয় করেন। তারমধ্যে কবলা ক্রেতা আঃ গফ্ফারের ৩২ শতক এবং মজিবরের ৪ শতকসহ মোট ৩৬ শতক জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এলএ ৮৫/৬৭-৬৮ ইং কেসে অধিগ্রহন করেন এবং মূল মালিকদ্বয়ের উক্ত দাগে সাড়ে ১৭ শতাংশ জমি অবশিষ্ট থাকে। কছিমন ও মমিনা খাতুনের বিবাহ জনিত কারনে উভয়েই শ্বশুড় বাড়িতে যায় এবং পরবর্তীতে কছিমন নেছা তার জীবদ্দশায় ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে যথাক্রমে দেলোয়ার হোসেন, আবু তালেব ও মকবুল হোসেন, পাতিজোন, ছায়রা বেগমকে ওয়ারিশ রেখে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তির অংশিদার হন সন্তানরা এবং আবু তালেব তার ২ ছেলে আবুল কাশেম ও সুলতান মিয়াকে রেখে মারা যায়। আবু তালেবের রেখে যাওয়া সম্পত্তির মালিক হয় তার ওয়ারিশরা। এছাড়াও মমিনা খাতুনের মৃত্যুর পর তার ২ ছেলে মইচ উদ্দিন ও মহির উদ্দিন এবং জরিনা খাতুন, মরিয়ম, আয়শা ও আহেতন সম্পত্তির মালিক হয়। পরবর্তীতে কছিমন নেছা ও মমিনা খাতুনের ওয়ারিশদের নগদ অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় ৬৯৬ দাগের সাড়ে ১৭ শতাংশ জমি গত বছরের ৫ জানুয়ারি ২৩৬ নং রেজি: কৃত কবলা দলিলমতে আমিসহ আমার ব্যবসায়িক পার্টনার জাহাঙ্গীর আলম শাহিন ও খাউরুল ইসলাম রাসেল বরাবর বিক্রয়ে দখলাদি হস্তান্তর করেন এবং রাজস্বাদি প্রদানের সুবিধার্থে জাকারিয়া আলম শিপলুসগহ অপর ২ পার্টনার রাসেল ও শাহীন রেজিঃকবলা দলিল মূলে নাম খারিজ করি। যাহার খারিজ খতিয়ান নং-৫২৫১। কবলা ক্রেতা মজিবর রহমান ৬৯৬ দাগে তাহার কবলাকৃত সাড়ে ১৩ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৪ শতক অধিগ্রহন ব্যতিত বাকী সাড়ে ৯ শতক জমি জয়নাল আবেদীন বরাবর বিক্রয় করেন। কিন্তু বিক্রিত দলিলে জমির পরিমান সাড়ে ৯ শতকের স্থলে ২৭ শতক উল্লেখ করেন। জয়নাল আবেদীন ২৭ শতক ক্রয় করিলেও তিনি সাড়ে ৯ শতক জমির মালিকানা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। কেননা দাতা মজিবর রহমানের ২৭ শতক জমি বিক্রয়ের আইনগত কোন এখতিয়ার ছিলনা। পরবর্তিতে জয়নাল আবেদীনের ক্রয়কৃত যোগসাজসি ২৭ শতক জমির দলিল দ্বারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে হাতবদল হইয়া সর্বশেষ ক্রেতা হন আকরাম ও আকবর । কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আকরাম ও আকবর ৬৯৬ দাগের ২৭ শতক জমির মালিক না হওয়া সর্তেও পিবিআই এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিস,মাহিগঞ্জ তাদের প্রতিবেদনে কোন রকম তথ্য প্রমান ছাড়াই তাদেরকে মালিক বানাইয়া প্রতিবেদন প্রদান করেছেন অভিযোগ উত্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, শিপলুসহ অপর পার্টনার রাশেল, শাহীন তাদের ক্রয়কৃত সাড়ে ১৭ শতাংশ জমি যথারিথী দখল ও ভোগ করে আসছেন। কিন্তু দিনাজপুরের গুড়গুড়ি এলাকার মৃত নুরমোহম্মাদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম, তদের সাথে যোগাযোগ করে ৭ শতাংশ জমি কেনার করার প্রস্তাব দেন। জমির মালিকানা সর্ম্পকে খোঁজ নিয়ে দরদাম গত ৩০ জুন বায়না দলিলের জন্য সম্ভাব্য দিন ঠিকফাক করা হয়। এবং ২৯ জুন পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়। কিন্তু ক্রেতা আনোয়ারুল উক্ত জমির বর্তমান মাঠ রেকর্ডের বিষয়ে আপত্তি থাকায় তিনি পুনরায় মাঠরেকর্ড সত্যতা এবং আইনগত দিক যাচাইয়ের জন্য সময় চান। তৎপ্রেক্ষিতে সময় দেয়া হয়। অতঃপর আনোয়ারুল মাঠ রেকর্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হইয়া আলাপ- আলোচনা সাপেক্ষে গত বছরের ১০ জুলাই বায়না দলিল রেজিস্ট্রি ককরা হয়। এদিকে, আনোয়ারুল ইসলাম পুর্বপরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় আমাদের নামে পে-অর্ডার করা স্বত্বেয় বায়না রেজিস্ট্রির পরের দিনই অর্থাৎ গত বছরের রংপুর কোতয়ালী থানায় তথ্য গোপনপূর্বক পে-অর্ডার হারিয়ে গেছে মর্মে একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যাহার জিডি নং- ৫৫৬। প্রতারক আনোয়ারুল ইসলাম আমাদের বরাবর স্বেচ্ছায়  পে-অর্ডার ইস্যু করা স্বত্তেয় তিনি কিভাবে থানায় জিডি করিয়া বলেন যে, পে-অর্ডার গত বছরের ১০ জুলাই সকাল ১০ ঘটিকায় হারিয়ে গেছে?প্রকৃত আনোয়ারুল ইসলাম পে-অর্ডারের নাম্বার উল্লেখ পূর্বক রেজিস্ট্রি বায়না দলিল করিয়া লন? তাহলে যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পে-অর্ডারের নাম্বার উল্লেখ পূর্বক বায়না দলিল করেন এবং উক্ত তারিখের রেফারেন্সে উল্লেখে পরেরদিন পে-অর্ডার হারিয়ে গেছে মর্মে সাধার ডায়েরী করেন, উক্ত ব্যক্তির চরিত্র কেমন হবে!  এদিকে প্রতারক!এছাড়াও উক্ত ব্যক্তি বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্জাদাহানি করার জন্য অপর ৩ জনকে আসামী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ।দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা(পিবিআই) কে প্রভাবিত করিয়া মিথ্যা প্রতিবেদন হাসিল করেন। এ ছাড়াও একটি মিথ্যা কল্প কাহিনী সৃজন পূর্বক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ তারসহ অপর পার্টনারদের বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান না করিয়া সাম্প্রদায়িক শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হইয়া গত ৫ই এপ্রিল কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর প্রকাশ করে সামাজিত মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান ওই আওয়ামীলীগ নেতা।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5492075449324517240

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item