৮ বছরেও নির্মাণ হয়নি বেরোবি’র প্রধান ফটক

মামুনুররশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পেরিয়ে গেছে। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা সম্ভব হলেও কতৃপক্ষের উদাসীনতা আর স্বেচ্ছাচারীতার কারণে আজো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রধান ফটক।এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার অন্তরায় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল।

উত্তারাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল, শ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠে ৬টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগ চালু করা হয়েছে। অধ্যয়নরত আছেন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষাদান করছেন প্রায় ১৫৫ জন শিক্ষক।
বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে কর্মকর্তা রয়েছেন দেড় শতকেরও বেশি। অপরদিকে কর্মচারী রয়েছেন ৪ প্রায় শতাধিক।
আবার এই অল্প সময়েই ৪ তলা বিশিষ্ট ৪টি একাডেমিক, একটি প্রশাসনিক সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, ছেলেদের জন্য দুইটি ও মেয়েদের জন্য ১টি হল, মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ৪টি ডরমেটরি করা সম্ভব হলেও এখনো অবহেলার কারণে থমকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭৫ একরে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি ফটক (গেট) রয়েছে। যার একটিও এখন পর্যন্ত প্রধান ফটক হিসেবে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।শুধু নামমাত্র রয়েছে এ ফটকসমূহ। এমনকি স্পষ্ট করে চিহ্নিতও করা হয়নি ফটক নং। শুধু ভর্তি পরীক্ষা আসলেই টানানো হয় পেপারের তৈরি নির্দেশক চিহ্ন। কিন্তু পরীক্ষার কিছুদিন পরে তাও তলিয়ে যায় পর্দার অন্তরালে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, “এখনো আমরা ভালোমতো জানি না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক কোনটি। অপরদিকে যে ফটকসমূহ রয়েছে তা নির্মাণে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না কতৃপক্ষের। এতে উদাসীনতাই কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন,“যেকোনো বিশ^বিদ্যালয় তার পরিচিতি তুলে ধরে প্রধান ফটকের বৈচিত্র দেখে।আমাদের মাননীয় উপাচার্য একাধিকবার এটি নির্মাণের কথা বললেও তিনি কথাটিতেই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে।তিনি আরোও বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রধান ফটক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।এতে তিনি প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করে অনতিবিলম্বে উপাচার্যের কাছে দাবিটি তুলে ধরা হবে বলে জানান”।
বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, “এতো দিনে অন্তত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক নির্মাণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা না করায় বাইরে এ প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বিকাশে অন্তরায় হিসাবে কাজ করছে। আমরা মনে করি যত দ্রুত সম্ভব এটি নির্মাণে কতৃপক্ষের  সদয় দৃষ্টি দেয়া দরকার।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, “ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট ‘শেখ হাসিনা’ হল ও ‘ড. ওয়াযেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্স ইনিস্টিটিউট ’এর কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রধান ফটকের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আমরা তা করতে পারবো বলে আশাবাদী।”

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6149668759847697834

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item