পঞ্চগড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগে সরকারী চা কারখানা স্থাপন হচ্ছে।
https://www.obolokon24.com/2017/04/panchagar_2.html
চা চাষীদের চা নিয়ে আর দূর্ভোগ পোহাতে হবে না
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (তোতা)-
পঞ্চগড় চা চাষীদের চা নিয়ে আর দূর্ভোগ পোহাতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দ্যোগে চা কারখানা গড়ে উঠছে পঞ্চগড়ে। নতুন নতুন চা কারখানা হলে চাষীদের আর চা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। পঞ্চগড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগে সরকারী চা কারখানা স্থাপন হচ্ছে। তাছাড়া বেসরকারী ভাবে আরো কয়েকটি চা কারখানা স্থপনে ক্ষুদ্র চা চাষীরা আশা আশান্বিত হয়ে উঠেছেন। আগামী মার্চ ও এপ্রিলের দিকে নতুন এই কারখানা গুলো চাষীদের কাজ থেকে কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ শুরু করবে। এই কারখানা গুলো চালু হলে চা চাষীদের চলমান সংকট অনেকটাই দূরহবে বলে জানিয়েছেন চা চাষী কারখানা কতৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্টরা। বেশ কয়েক বছরের ব্যবধানে পঞ্চগড়ে চায়ের অভাবনীয় সাফল্য পরিলক্ষিত হলেও সে তুলনায় চা কারখানা গড়ে না উঠায় কাঁচা চা পাতা নিয়ে বিপাকে পরেছিল চা চাষীরা। মাত্র ছয়টি ছোট চা কারখানার কাছে জিম্মি হয়ে পরেছিল তারা। বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে কাঁচা চা পাতা বিক্রয় করতে হচ্ছিল চা চাষীদের। অন্যদিকে ছিন্ডিকেট করে কারখানা কতৃপক্ষ নি¤œমানের অযুহাত দেখিয়ে ৩০ থেখে ৪০ ভাগ চা পাতা অবৈধ ভাবে বাদ দিয়ে চাষীদের ঠকিয়ে মূল্য পরিষধ করছিল অর্ধেকেরও কম। এ নিয়ে চাষীরা মহাসড়কে কাঁচা পাতা ফেলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে গত দুই বছর ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন । অন্য দিকে চা কারখানার কতৃপক্ষ বলছেন ধারন ক্ষমতার বেশি কাঁচা চা পাতা উৎপন্ন হওয়ায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। চা চাষীদের দূভোগের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। এর পর প্রধানমন্ত্রী উদ্দ্যোগী হয়ে সরকারী ভাবে একটি চা কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ইতি মধ্যে তা অনুমোদন পেয়েছে বলে জানিছেন জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল, স্থপনে এগিয়ে এসেছে বেসরকারী উদ্দ্যোগতারা। সব মিলিয়ে বর্তমানে পঞ্চগড়ে নতুন চা কারখানা গড়ে উঠছে ৮টি, ৮টির মধ্যে তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৪টি, সদর উপজেলায় ১টি এবং আটোয়ারী উপজেলায় ১টি, তেঁতুলিয়া উপজেলা বাংলা টি ই মেমোরিয়াল টি কোম্পানী, নর্থঙ্গেল টি ও ফাহিমা টি কোম্পানী সদর উপজেলার মৈত্রীটি, আটোয়ারী সবুজ এগ্রোটির অবকাঠামো নির্মান কাজ দূতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আরো ৭টি চা কারখানা এ মাসেই অবকাঠামো নির্মানের কাজ শুরু হবে পঞ্চগড় দর্জিপাড়া, টি কোম্পনী নর্থবেঙ্গল। নর্থবেঙ্গল টি কোম্পানী ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক ও ফাহিমা টি কোম্পানীর ম্যানেজার আকাশ জানান আগামী মার্চ ও এপ্রিল এর মধ্যে নতুন ফ্যাক্টরি চালু করে চা চাষীদের কাছ থেকে কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ শুরু করবেন তারা। তারা আরো জানান নতুন কারখানা গুলো চালু হলে চা চাষীদের দুর্ভোগ কমে যাবে। আহসান হাবীব জানান ২০১৫/১৬ সালে চা পাতা উদপাদনের ব্যপক লোকসান গুনতে হয়েছে। কারখানা না থাকায় অনেক দূর্ভোগের সিকার হয়েছে। এবারে নতুন কারখানাগুলো চালু হলে হয়তো চাষীরা লাভোবান হবে। পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা র্বোডের তথ্য মতে গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় মাত্র সারে তিন হাজার একর জমিতে চা চাষ হয়েছে। গত বছরে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৯টি নিবন্ধন সহ ২৬টি এস্ট্রেট বা বড় বাগানে চা আবাদে জমির পরিমান ২৩২০ একর। প্রায় ২০টি স্মল হোল্ডার্স বা ক্ষুদ্রায়াতন বাগানে চা চাষ হয়েছে ২৫০ একর এবং ৪৮৩ টি স্মল গ্রোয়ার্স বা ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। এ বাগান গুলোথেকে প্রতি বছর সারে তিন থেকে চার লাক্ষ কেজি কাঁচা পাতা উৎপন্ন হচ্ছে। যা মাত্র ৬টি কারখানার ধারন ক্ষমতার অধিক ছিল। জানা গেছে পঞ্চগড় ক্ষুদ্র চা চাষের উপযোগী জমি রয়েছে প্রায় বিশ হাজার একর। প্রতি বছরই চায়ের চাষাবাদ বারলেও সে তুলনায় গড়ে উঠেনি চা কারখানা। এখন নতুন পরোনো মিলিয়ে মোট ১৪টি চা কারখানা চাষীদের কাছ থেকে কাঁচা চা পাতা কিনবে। আর চা চাষীদের দূর্ভোগ পোহাতে হবে না।