ঐশীকে হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশ
https://www.obolokon24.com/2017/04/oysi.html
ডেস্কঃপুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে সশরীরে হাজির করতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আগামী ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় ঐশীকে হাইকোর্টে হাজির করতে কারা মহাপরিদর্শককে (আইজি প্রিজনস) এ নির্দেশ দেয়া হয়।আপিলের শুনানিকালে আজ সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালত রায়ে বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঐশী রহমান হত্যার সময় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন। এবং বংশগতভাবে তারা মানসিক রোগী। তার দাদি, চাচারা বিকারগ্রস্ত। মেডিকেল রিপোর্টের সত্যতা যাচাই ও পর্যবেক্ষণ করতে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হলো।ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির বিরোধিতা করে বলেন, ঐশীকে হাজির করা ঠিক হবে না। কেননা, মামলার এ পর্যায়ে তাকে হাজির করা হলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হবে। মামলার সাক্ষ্য, তদন্ত সবকিছু শেষে বিচারিক আদালত রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্টে ঐশীকে হাজির করা হলে আদালতের মায়া জন্মাতে পারে। ঐশীর পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে। তাই তাকে হাজির করা ঠিক হবে না।আদালত বলেন, আমরা শুধু মেডিকেল রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করার জন্য হাজির করতে বলেছি। শুধু তার মানসিক অব¯’া পর্যবেক্ষণ করব।’ এ পর্যায়ে আদালত তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন।ঐশীর আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।ঐশীর আইনজীবী আফজাল এইচ খান বলেন, আপিলে আমরা ২৫টি যুক্তি দেখিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম যুক্তি হলো ঐশী হত্যাকাণ্ডের সময় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন।গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে দু’বার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ে প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অন্যটি সরাসরি বাতিল হয়ে যাবে। একইসঙ্গে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলার অন্য আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেন আদালত।২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে বাবা-মাকে খুনের দায় স্বীকার করেন। এরপরে ২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি।