কিশোরগঞ্জে গ্রাম পর্যায়ে দরিদ্রদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছে কমিউনিটি ক্লিনিক

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার একমাত্র উপায় হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। ফলে  গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে  বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জানা গেছে, অধিকার ও সুবিধাবঞ্চিত জনসাধারন একটু অসুস্থ হলেই চলে আসছে কমিউনিটি ক্লিনিকে । প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এখন আর অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় করে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে জায়না। শিশুদের টিকা কার্যক্রম , পরিবার পরিকল্পনা সেবা, গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়ের নিয়মিত চেকআপ, যক্ষা রোগের জন্য কফ পরীক্ষা করতে প্রতিদিন রোগীরা ভীড় জমায় কমিউনিটি ক্লিনিকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ক্লিনিকগুলো থেকে প্রতিমাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয় এসব ক্লিনিকে। বর্তমানে ক্লিনিকগুলোতে উচ্চ রক্তচাপ ,ডায়াবেটিস, যক্ষা রোগের জন্য কফ পরীক্ষা করা সহ রয়েছে উচ্চতা ও ওজন মাপার যন্ত্র। সপ্তাহের প্রতিদিন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার , তিনদিন স্বাস্থ্য সহকারী, তিনদিন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী,  এছাড়াও মাসে একদিন গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য এবং যক্ষা রোগের জন্য কফ পরীক্ষা করতে একজন এনজিও কর্মী কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, ৩২ প্রকারের ওষুধ ও সচেতনতার উপর কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ক্লিনিকের বর্তমান অবস্থা এলাকায় স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা কমিউনিটি ক্লিনিক, মেলাবর কমিউনিটি ক্লিনিক, দক্ষিন বড়ভিটা কমিউনিটি ক্লিনিক, বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট কমিউনিটি ক্লিনিক, নওদার বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ও উত্তর দুরাকুটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে সেবাকর্মী ও সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা হয়।
এসময় বাহাগিলি ডাঙ্গারহাট কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগী মায়া বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে কমিউনিটি ক্লিনিক  হওয়ায় এখন আমাদের একশ টাকা খরচ করে উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়না। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যাথা হলে ফার্মেন্সি থেকে ওষুধ কিনতে হয়না । কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ৫/১০ টি ওষুধ খেলে ভাল হয়ে যাই।
উত্তর দুরাকুটি কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার মুক্তা বেগম বলেন, গর্ভবতী মায়েদের যেখানে মাসে কমপক্ষে ৪ টি চেকাপ করাতে বলা হয়, সেখানে তারা প্রতিমাসে ক্লিনিকে এসে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছে এবং সেবাকর্মীদের পরামর্শ মত নিরাপদ স্থানে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাচ্চা প্রসব করাচ্ছে।
উত্তর বড়ভিটা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি শাহানারা পারভীন বলেন, সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে তা আজ সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে। অনেক সময় বড় ধরনের রোগ নিয়ে রোগীরা কমিউনিটি ক্লিনিকে আসে এখানে আমরা রোগ নির্ণনের মধ্য দিয়ে রোগীদের উপজেলা হাসপাতালে রেফার করি।
বাহাগিলি ডাঙ্গারহাট কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জোনাব আলী বলেন, দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ও জনগনের দোড়গোরায় স্বাস্থ্যসেবা পেীঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সরকার গরীব অসহায়দের  সু স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে যে সুযোগ করে দিয়েছে তাতে এলাকাবাসী খুবই উপকৃত হচ্ছে।
  উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা( ভারপ্রাপ্ত) গাউছুল আজম বলেন, উপজেলার ৩২ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা এলাকার মানুষের কাছে প্রসংশিত হচ্ছে। রোগীদের সেবার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আমরা মনিটরিং এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি। ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে পরিচিতি পেয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 5747472330516479157

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item