খালেদা জিয়ার নাশকতার চার মামলা স্থগিত,অনাস্থার আবেদন নাকচ

ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার আরো চার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি আ.ন.ম. বশিরুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

বিরোধী দলীয় জোটের ডাকা হরতাল চলাকালে মিরপুরের দারুসসালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নাশকতার এসব মামলা দায়ের করা হয়। এ সব মামলায় খালেদা জিয়াকে ইন্ধন দাতা হিসেবে উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ অভিযোগ আমলে নেয়। এই অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনের পক্ষে জয়নুল আবেদিন ও এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির শুনানি করেন।
           অন্যদিকে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ২ বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ হয়েছে।

বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিচারক আবু আহমদ জমাদার ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ  কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে এই ২ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির কথা ছিল।

দুই আদালতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার তার পক্ষে অনাস্থার আবেদন তুলে ধরেন।

এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারক আবু আহমদ জমাদার অনাস্থার আবেদন নাকচ করে ২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করেন। আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ মে পরবর্তী ঠিক করে দেন বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।

এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিট খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে সোয়া ১১টার দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে আদালত এলাকায় পৌঁছান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।

মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ খান।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 5473733333147010861

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item