বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়. ফের দায়িত্ব পেতে মরিয়া বর্তমান উপাচার্য

মামুনুররশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একেএম নূর-উন-নবীর চার বছর মেয়াদ পূর্তি হতে আর বাকি মাত্র ১২ দিন। আসছে ৫ মে বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে। নতুন উপচার্য হিসেবে কে আসছেন বেরোবির পরবর্তী অভিভাবক হিসেবে, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদরে অন্দরে চলছে আলোচনা। উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে এরই মধ্যে ঢাবি, রাবি, জাবি ও ইবির পাঁচ অধ্যাপক জোড় তদবির চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়েছে বর্তমান উপচার্য ড. একেএম নূর-উন-নবী। এ জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ অনেক আমলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তিনি। তবে বিশ^বিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রশ্নে ড. একে এম নূর উন নবীকে আর উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাননা কেউই। দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হলে আন্দোলনের উত্তাপে  উত্তপ্ত হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
এদিকে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, যতই তদবির করা হোক না কেন তার দ্বিতীয় বারের মতো নিয়োগ বিভিন্ন কারণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানান কারণে বিভিন্ন সময়ের আন্দোলনে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সরকারের উর্দ্ধোমহল ও ইউজিসি ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে।
উপাচার্য ড. একে এম নূর উন নবীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সমূহের মধ্যে ২০১৩ সালে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫১৩ দিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানসহ সর্বোচ্চ পদগুলো একাই দখল করে রাখা, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে অকার্যকর করে রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার নিয়োগ না দিয়ে সেই পদও দখল করে রাখা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে রাখা, মিথ্যা মামলা দিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্পাদকের পদোন্নতি আটকিয়ে রাখা, লাইব্রেরিতে বই ক্রয়ে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ অন্যতম।
বিভিন্ন সময় অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’দফায় ইউজিসি তার দুর্নীতি তদন্ত করে। কিন্তু ইউজিসির তদন্ত টীম এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
ইউজিসি সূত্র আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে বেশির ভাগ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও তলবীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় তা দেয়া যাচ্ছে না। উপাচার্যের কাছে তদন্ত কমিটি বেশ কিছু কাগজপত্র তলব করেছিলো বার বার চিঠি দিয়েও উপাচার্য ওই সব কাগজ প্রদান করেননি। এদিকে ড. নূর-উন-নবীকে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য পদে রাখতে নেপথ্যে থেকে ক্যাম্পাসে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে সরকার দলীয় স্থানীয় একটি মহল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীক আরেকটি মহলের সাথে সখ্যতা রেখে স্থানীয় মহলটি ২০১৩ সাল থেকেই বিভিন্ন ভাবে ড. নূর-উন-নবীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। উপাচার্যের বিশেষ সহযোগিতায় গত চার বছরে ক্যাম্পাসে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে এই মহলটি । তার পূন:নিয়োগের সম্ভবনায় আন্দোলনের সৃষ্টি হলে এই মহলটি তার মোকাবেলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানা গেছে।  

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 9184109212535330450

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item