হরিপুরে কাঁঠালের মুচি পঁচা রোগে উদ্বিগ্ন চাষী
https://www.obolokon24.com/2017/03/thakurgaon_3.html
জে. ইতি হরিপুর, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
জেলার হরিপুরে কাঁঠালের মুচি পঁচা রোগ ব্যাপক হারে দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তা করছেন চাষীরা। এ রোগে প্রতিকার সম্পর্কেও তারা ভালো ভাবে জানেন না। ঠাকুরগায়ের হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এ রোগ দেখা দিয়েছে ।
তবে কৃষিবিদের মতে, দেশের প্রায় সব অঞ্চলে প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হলেও বড় একটি অংশ মুচি পঁচা রোগে নষ্ট হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৫০ প্রজাতির কাঁঠাল রয়েছে। এসব প্রজাতির অনেক গাছেই খাওয়ার উপযোগী উৎপন্ন করে। এ ফল কাচা ও পাকা দুই অবস্থাতে এ দেশে খাওয়া হয়।
তবে এ জাতীয় ফলের ১৩টি রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছত্রাকজনিত, একটি ভাইরাসজনিত, একটি শেওলাজনিত, একটি পরগাছাজনিত এবং ২টি শরীরবৃত্তীয় কারণজনিত রোগ। এ দেশের ডিসম্বর-জানুয়ারি মাসে কাঁঠাল গাছে ফুল বা মুচি আসতে শুরু করে। এসব মুচি থেকে কাঁঠাল হয়। মুচির মধ্যে মেয়ে মুচি ও ছেলে মুচি রয়েছে। ছেলে মুচি থেকে কাঁঠাল হয় না। পরাগায়নের পর ছেলে মুচিদের কাজ শেষ হয়। মেয়ে মুচি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে ছেলে মুচিরা শুকিয়ে বা পঁচিয়ে ঝড়ে যায়।
কিন্তু সমস্যা হল যখন ছেলে-মেয়ে মুচি নির্বিচারে পঁচতে শুরু করে আর এটি হয় রোগের কারণ। রোগটির নাম কাঠালের মুচি পচা রোগ এ বিষয়ে উপজেলার গেদুড়া এলাকার মঈনউদ্দিন জানান,
আমরা গায়ের মানুষ। তাই সব কিছু বুঝে উঠতে পারি না। কাঁঠালের মুচি পচা রোগের লক্ষণও এ রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আমরা না জানার কারণে প্রতি বছর বড় ধরনের উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। চলতি বছর আমার কাঠাল গাছ ব্যাপক হারে মুচি পঁচা রোগ দেখা দিয়েছে। তই এবার উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নে আবুল জানান, পঁচা মুচি মাটিতে না ফেলে কাঠাল গাছের অনেক দূরে নিরাপদ স্থানে মাটিতে পুঁতে ফেললে রোগ জীবাণু বেশি ছড়াতে পারবে না। যাদুরানী এলাকার খালেক জানান, গত বছর কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে কাঠাল গাছে মুচি আসার পর থেকে ফল বড় হওয়া পর্যন্ত ৩ বার নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করি। তাতে ভালো ফল পেয়েছি। তাই এ বছরেও একই পদ্ধতি মেনে চলব।
হরিপুর উপজেলার উপসহকারী (উদ্ভিদ) সংরক্ষক আব্দুল খালেক জানান, এ রোগের আক্রমণ প্রথমে মুচি বা কুচি ফলের উপরে নরম ভেজা ভেজা ছোট ছোট বাদামী দাগ পড়ে। পরে এ দাগ বড় হতে থাকে। এক সময় দাগ কালো হয়ে যাওয়ায় কালো ছাতার মতো আবরণে ঢেকে যায়। দাগ থেকে পশমের মতো অসংখ্য ছত্রাক দেখা যায়। এতে ব্যাপকভাবে মুচির পঁচন হয়। ফলে কাঠালচাষীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
এ রোগের জীবাণু পঁচা, আবর্জনা, কাঠাল গাছের সরা-পচা, ডাল-পালা ও আগাছা ইত্যাদির মধ্যে বেঁচে থাকে। তাই কাঠাল গাছ ও নিচের জমি পরিছন্ন রাখলে এ রোগ অনেক কম হয়। কাঠাল গাছকে নিয়মিত বয়স অনুযায়ী খাবার দিতে হবে। এছাড়াও আক্রমন ফল ভিজা বস্তা জড়িয়ে তুলে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করতে হবে। এতে করে মুচি পঁচা রোগ অনেকাংশে কমে গিয়ে ভালো ফল আসবে
জেলার হরিপুরে কাঁঠালের মুচি পঁচা রোগ ব্যাপক হারে দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তা করছেন চাষীরা। এ রোগে প্রতিকার সম্পর্কেও তারা ভালো ভাবে জানেন না। ঠাকুরগায়ের হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এ রোগ দেখা দিয়েছে ।
তবে কৃষিবিদের মতে, দেশের প্রায় সব অঞ্চলে প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হলেও বড় একটি অংশ মুচি পঁচা রোগে নষ্ট হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৫০ প্রজাতির কাঁঠাল রয়েছে। এসব প্রজাতির অনেক গাছেই খাওয়ার উপযোগী উৎপন্ন করে। এ ফল কাচা ও পাকা দুই অবস্থাতে এ দেশে খাওয়া হয়।
তবে এ জাতীয় ফলের ১৩টি রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছত্রাকজনিত, একটি ভাইরাসজনিত, একটি শেওলাজনিত, একটি পরগাছাজনিত এবং ২টি শরীরবৃত্তীয় কারণজনিত রোগ। এ দেশের ডিসম্বর-জানুয়ারি মাসে কাঁঠাল গাছে ফুল বা মুচি আসতে শুরু করে। এসব মুচি থেকে কাঁঠাল হয়। মুচির মধ্যে মেয়ে মুচি ও ছেলে মুচি রয়েছে। ছেলে মুচি থেকে কাঁঠাল হয় না। পরাগায়নের পর ছেলে মুচিদের কাজ শেষ হয়। মেয়ে মুচি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে ছেলে মুচিরা শুকিয়ে বা পঁচিয়ে ঝড়ে যায়।
কিন্তু সমস্যা হল যখন ছেলে-মেয়ে মুচি নির্বিচারে পঁচতে শুরু করে আর এটি হয় রোগের কারণ। রোগটির নাম কাঠালের মুচি পচা রোগ এ বিষয়ে উপজেলার গেদুড়া এলাকার মঈনউদ্দিন জানান,
আমরা গায়ের মানুষ। তাই সব কিছু বুঝে উঠতে পারি না। কাঁঠালের মুচি পচা রোগের লক্ষণও এ রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আমরা না জানার কারণে প্রতি বছর বড় ধরনের উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। চলতি বছর আমার কাঠাল গাছ ব্যাপক হারে মুচি পঁচা রোগ দেখা দিয়েছে। তই এবার উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নে আবুল জানান, পঁচা মুচি মাটিতে না ফেলে কাঠাল গাছের অনেক দূরে নিরাপদ স্থানে মাটিতে পুঁতে ফেললে রোগ জীবাণু বেশি ছড়াতে পারবে না। যাদুরানী এলাকার খালেক জানান, গত বছর কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে কাঠাল গাছে মুচি আসার পর থেকে ফল বড় হওয়া পর্যন্ত ৩ বার নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করি। তাতে ভালো ফল পেয়েছি। তাই এ বছরেও একই পদ্ধতি মেনে চলব।
হরিপুর উপজেলার উপসহকারী (উদ্ভিদ) সংরক্ষক আব্দুল খালেক জানান, এ রোগের আক্রমণ প্রথমে মুচি বা কুচি ফলের উপরে নরম ভেজা ভেজা ছোট ছোট বাদামী দাগ পড়ে। পরে এ দাগ বড় হতে থাকে। এক সময় দাগ কালো হয়ে যাওয়ায় কালো ছাতার মতো আবরণে ঢেকে যায়। দাগ থেকে পশমের মতো অসংখ্য ছত্রাক দেখা যায়। এতে ব্যাপকভাবে মুচির পঁচন হয়। ফলে কাঠালচাষীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
এ রোগের জীবাণু পঁচা, আবর্জনা, কাঠাল গাছের সরা-পচা, ডাল-পালা ও আগাছা ইত্যাদির মধ্যে বেঁচে থাকে। তাই কাঠাল গাছ ও নিচের জমি পরিছন্ন রাখলে এ রোগ অনেক কম হয়। কাঠাল গাছকে নিয়মিত বয়স অনুযায়ী খাবার দিতে হবে। এছাড়াও আক্রমন ফল ভিজা বস্তা জড়িয়ে তুলে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করতে হবে। এতে করে মুচি পঁচা রোগ অনেকাংশে কমে গিয়ে ভালো ফল আসবে