বিএনপি হানাদার বাহিনীর মতো নির্যাতন চালিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শুধু একাত্তরে নির্যাতন চালিয়েছে তা নয়, বিএনপি ক্ষমতায় এসে তাদের মতো দেশবাসীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশবাসীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ২০০১ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের নির্যাতনের ভয়াবহতা বাড়ে। পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে নির্যাতন চালিয়েছে, ঠিক সেইভাবে তারা নির্যাতন করেছে। ১০ বছরের শিশু থেকে ৬৫ বছরের নারীরা তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিএনপি নির্যাতন চালিয়েছে সারা দেশের মানুষের ওপর।

তিনি বলেন, তাদের অত্যাচারে কত মানুষ জীবন দিয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫-তেও তারা একই কায়দায় নির্যাতন করেছে। চলন্ত গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিরা এখনো সেই যন্ত্রণা ভোগ করছেন।


ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের প্রশংসা করায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্রঋণের প্রশংসা করে বললেন, ক্ষুদ্রঋণের জন্য নাকি দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। যদি এ কারণে দারিদ্র্য বিমোচন হতো তাহলে দারিদ্র্য ৬০ ভাগে কেন ছিলো? আর এখন কেন ২২ ভাগে নেমেছে? অর্থমন্ত্রীকে বলব, আপনি যদি হিসাব নেন তাহলে এর কারণ দেখতে পারবেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গৃহীত নানা পদক্ষেপের কারণে দ্রারিদ্য ২২ ভাগে নেমে এসছে। যেখানে অর্থমন্ত্রীও কমর্সূচি নিয়েছেন।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য বিমোচন হয় না, লালন-পালন হয়। আর যারা ব্যবসা করে তারা সম্পদশালী হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মা বোনরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে। আর লাভ নিয়ে যায় ক্ষুদ্র্রঋণের ব্যবসায়ীরা। যারা ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা করে তারাও চায় না দারিদ্রতা থেকে তারাও ওঠে আসুক। তা করলে তাদের ব্যবসা থাকবে না। দুঃখ লাগে অর্থমন্ত্রী এমন একজনের প্রশংসা করলেন যার কারণে পদ্মা সেতুর কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকা থেকে আমাকে বারবার হুমকি দেয়া হয়েছে। এখন কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি।

সম্মেলনে আসা নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে নারীরা এসেছেন। তাদের বলব, জঙ্গিবাদ একটি বিশ্বব্যাপী উপসর্গ। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের সঙ্গে মেয়েরাও সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। মেয়েরা মায়ের জাত। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ খুন করে কিভাবে ইসলাম কায়েম হবে জানি না। মেয়েদের বলব, আপনাদের ছেলে-মেয়রা কি করে, কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে, স্কুল-কলেজে যাচ্ছে কিনা এগুলো ভালো করে খোঁজ-খবর রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু হবেন মা। সন্তান যেন মন খুলে সব কথা বলতে পারে সে সম্পর্ক স্থাপন করেন। সন্তানরা মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পথে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু শাসন নয়, আদরও করতে হবে। আমি অবাক হই যখন উচ্চ বিত্ত পরিবারের সন্তানরা জঙ্গিবাদ ও সন্তানের পথে যাচ্ছে। সবই পেয়ে গেছে বলে কি তারা বিপথে চলে যাচ্ছে? এক্ষেত্রে সন্তান যাতে বিপথে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 7088309674093794262

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item