২৮ দিনেও ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ। পীরগাছায় কর্মসংস্থান কর্মসূচির শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগাছায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে শ্রমিক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে দায়সারা ভাবে স্বস্ব ইউনিয়নের প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করা হয়। নাম মাত্র তদন্ত করলেও শ্রমিকদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে গত ২৮ দিন ধরে কর্মরত নতুন শ্রমিক ও বাদপড়া শ্রমিকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। বাদপড়া শ্রমিকদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে।  নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে উপকার ভোগিদের নাম বাদ দিয়ে এলাকার স্বচ্ছল লোকদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দাখিল করেণ কর্মসূচি থেকে বাদপড়া শ্রমিকেরা। অভিযোগর ২৮ দিন অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উপকারভোগি শ্রমিকেরা চরম বিপাকে পড়েছে। ইজিপিপি কর্মসূচির জারিকৃত বিধিতে বলা হয় পূর্বের তালিকাভূক্ত উপকার ভোগিদের নাম পরবর্তী বছরে কর্তন করা যাবে না। তবে উপকারভোগী মারা গেলে তার স্থলে ওই পরিবারের অস্বচ্ছল ব্যক্তিকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।  কিন্তু এই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিজের ইচ্ছা মতো নাম কর্তন করে এলাকার স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নতুন নামের তালিকায় সংযোজন করেন। তাম্বুলপুর ও কান্দি ইউনিয়নের  নতুন নাম সংযোজনকারীদের নিকট থেকে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শত শত শ্রমিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। চলতি মাসের ১ ফেব্রুয়ারী থেকে এ কর্মসূচির কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ২৮ দিন ধরে নতুন শ্রমিক দিয়ে কাজ করা ও পুরাতন শ্রমিকদের বিষয়ে কোন সিন্ধান্ত গ্রহণ না করায় উভয় শ্রমিকেরা চরম বিপাকে পড়েছে। সবচেয়ে বেশী অভিযোগে পাওয়া গেছে উপজেলার কান্দি ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নে। এ ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১২০ জনের নাম কর্তন করা হয়। তথ্যে জানা যায়, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে মিনারা বেগম(ক্রমিক নং-২৭০), ছাত্তার মিয়া (ক্রমিক নং-২৯৮) কর্তন করেন।  এলাকার বিত্তবান রিয়াজুল ইসলাম এর ছেলে রাশেদুল ইসলামকে অজ্ঞাত কারনে নতুন তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। যার বাড়িতে পাকাঘর ও আবাদী প্রায় আড়াই একর কৃষি জমি রয়েছে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়। একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে জহির(ক্রমিক নং ৩১৪), ফজলু(ক্রমিক নং ৩১৯), জবিরন (ক্রমিক নং ৩৩৬), আরফুল(ক্রমিক নং ৩৪৭), মিজানুর রহমান(ক্রমিক নং ৩৫৫)সহ প্রায় ১৫ জন শ্রমিকের তালিকাভূক্ত নাম কর্তন করে।। তালিকায় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের ছেলে খোকন মিয়াসহ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও ৯নং ওয়ার্ডে জয়নাল, বাহাদুর, তালেবসহ প্রায় ১০ জন শ্রমিকের নাম কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ নতুন নামের তালিকা ভূক্ত শ্রমিকরা এলাকার বিত্তবান ও প্রভাবশালী বলে জানা যায়।
জনতা ব্যাংক চৌধুরাণী শাখা’র ব্যবস্থাপক মাহফুজার রহমান জানান, নতুন শ্রমিকদের নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলা হবে না। তবে আমি পরিপত্র না পাওয়ায় ৫/৬টি একাউন্ট নম্বর খুলেছিলাম তা আবার বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, পুরাতন নাম কর্তন করার সুযোগ নাই। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে বসে শ্রমিকদের বিষয়টি আপোস করতে বলেছি ।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4976911208251134226

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item