ড. ওয়াজেদ মিয়া ও বালুয়া সেতুসহ ২ সহস্রাধীক ফসলী জমি হুমকিতে

যমুনেশ্বরী নদীর ২০ পয়েন্টে বালু উত্তোলন এখনও বন্ধ হয়নি


মামুনুররশিদ মেরাজুল নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

যমুনেশ্বরী নদীর কাচদহ্ এলাকায় ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতু ও বালুয়া মাসিমপুর ব্রীজের নীচ হতে অবাধে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, আরও ১৮ টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এরফলে, নদীর আশপাশের ২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি ও রাস্তাঘাট ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফ্রি স্টাইলে চলছে বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ। পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। উল্টো বালু ব্যবসায়িরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার দাম্ভিকতা প্রকাশ করছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, যমুনেশ্বরী নদীর মিলনপুর ইউনিয়নের তরফসাদী পয়েন্টে মোজাব উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম, তাঁর ভাই আব্দুল কালাম, কাচদহ এলাকায় ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতুর নিচ হতে মোক্তারুল ইসলাম বালু উত্তোলন করছেন। মিলনপুর ইউনিয়নের মুকিমপুর ভিটারচর এলাকায় জলাইডাঙ্গা গ্রামের শাহ্ আলম, বড়বালা ইউনিয়নের আটপুনিয়া উত্তরপাড়া বাগানবাড়ি পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পৃথকভাবে বালু উত্তোলন করছেন আব্দুল মান্নানের ছেলে নুরু ইসলাম ও একই গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে হুইয়াল ইসলাম। আটপুনিয়া নামাপাড়া পয়েন্টে গনি মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া’র নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করছেন কাওছার ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের চাঁনটারি এলাকায় ব্রীজের নিচ হতে হাফিজুর রহমান পচাঁ মিয়া ও হাছিয়া পয়েন্টে রাব্বি মিয়া অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বালু উত্তোলনকারীদের নেপথ্যে সহায়তা করছেন বালুয়া মাসিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, ৩ (বালুয়া মাসিমপুর, বড়বালা ও মিলনপুর) ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তবে, বালুয়া মাসিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করছি।
মিলনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আখিরুজ্জামান বলেন, মুকিমপুর ভিটারচর ও তরফসাদীতে এখনও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আমি বেশ কয়েকবার নিষেধ করেও কাজ হয়নি। বালু উত্তোলনকারীদের সহায়তার করার প্রশ্নেই ওঠেনা।
আটপুনিয়া উত্তরপাড়া বালু উত্তোলনকারী নুরু ইসলাম, হুইয়াল ইসলাম ও সাজু মিয়া বলেন, মসজিদে বালু লাগছে, তাই উত্তোলন করছি। মিলনপুর ইউনিয়নের তরফসাদী পয়েন্টে বালু উত্তোলনকারী আব্দুস সালাম ও আব্দুস কালাম বলেন, আমরা দির্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করি- চেয়ারম্যান-মেম্বার ও তহসিলদারসহ সবাই জানে। নদীতে আমাদের জমি আছে, তাই আমরা বালু উত্তোলন করছি। বালুয়া মাসিমপুর চাঁনটারি’র হাফিজুর রহমান পচাঁ মিয়া ও মিলনপুর ইউনিয়নের মুকিমপুর ভিটারচর এলাকায় জলাইডাঙ্গা গ্রামের শাহ্ আলম বলেন, প্রশাসন ম্যানেজ করা হয়েছে। সবাইকে টাকা দেওয়া দেওয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুমা আরেফিন বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার মামুন-অর-রশীদ বলেন, ইতোমধ্যে বালু উত্তোলনের কয়েকটি অবৈধ পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। প্রয়োজনে আবারও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8197896309460529364

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item