আয়োডিন লবন ব্যবহারের সচেতনতায় নীলফামারীতে পলিসি ডায়ালগ


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৫ মার্চ॥
  ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশল প্রণয়েনের বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গঠন, নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে খাদ্যে মান স¤পন্ন আয়োডিনযুক্ত লবণ  নিশ্চিত করতে নীলফামারীতে ট্যুয়ার্ডস সাসটেইনেবল ইউনিভার্সাল সল্ট আয়োডাইজেশন শীর্ষক পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১১টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পলিসি ডায়ালগ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও বিসিক এর চেয়ারম্যান  মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখার।
নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এ,জে,এম এরশাদ আহসান হাবিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিকের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম, ও এ্যাকটিং কান্ট্রি ডিরেক্টর, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ইনিসিয়েটিভ (এম আই)  ইঞ্জিনিয়ার আশেক মাহফুজ।  
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি এন্ড রুরাল ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম বুরহান উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ, কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ পরিচালক কেরামত উল্লাহ, সাংবাদিক তাহমিন হক ববী, নুরুল ইসলাম,।
 প্রধান অতিথি বলেন, দৈনন্দিন খাদ্যে আয়োডিনের স্বল্পতা ও গুরুত্ব নিরসনে প্রয়োজনীয় ও আমাদের করনীয় সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ প্রকল্পটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। হয়তো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন থেকে অনেকগুলো চেইন হয়ে ভোক্তার কাছ পর্যন্ত পৌছে। আমরা বাজার থেকে লবণ কিনছি তার সবগুলো আয়োডিনযুক্ত কি না তা ও জানা নেই। এছাড়া মানুষ এব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন ও নয়। প্রচলিত আইন ও যথেষ্ট কঠোর নয়, অবশ্য আইনের সংস্কারের কাজ চলছে। এ সময় দেশের উত্তরাঞ্চলে আয়োডিনের ঘাটতির কথা শোনা যেতো, আর এখন দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও এর ঘাটতির কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি এই সংকট নিরসন ও উদ্দেশ্য অর্জনে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ সংশি¬ষ্ট সকলকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
প্রকল্প পরিচালক তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন যে, কর্মশালার বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। গলগন্ড রোগের বিস্তৃত শুরু হলে সরকার সিআইডিডি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, কিন্তু বতর্মানে আয়োডিনের অভাবে আমাদের দেশে মানসিক, শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিষয়গুলো বহুল আলোচিত। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে, কেননা আয়োডিন ঘাটতিজনিত বেশীরভাগ রোগের কোন স্থায়ী প্রতিকার নেই।
কর্মশালার সভাপতি  বলেন যে, আয়োডিন বিষয়টি খুব ছোট মনে হলেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকের কর্মশালার মূল বক্তব্য ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে তা অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে। এ সংক্রান্ত আইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে আজকের কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও মতামত ভূমিকা রাখবে।
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ইনিসিয়েটিভ (এম আই) এর প্রতিনিধিবৃন্দসহ সরকারি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা পরিচালনায় সহায়তা করে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সার্ভিস গ্রুপ (সিবিএসজি)।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2195434204767518907

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item