ফের কুসিক মেয়র হলেন বিএনপি প্রার্থী সাক্কু

ডেস্কঃসকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবাধ ও শান্তিুপূর্ণ ভোট গ্রহণের মাধ্যমে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে আবারও জয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।  নির্বাচনে স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্র বাদ দিয়ে বাকি ১০১টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে ১১ হাজার ৮৫ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার মধ্যে ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টির ফল ঘোষণা হয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে।
এতে ধানের শীষ প্রতীকে সাক্কু পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট; নৌকা প্রতীকে আঞ্জুম সুলতানা সীমার ভোট ৫৭ হাজার ৮৬৩।
অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে। সে দুটি কেন্দ্রের মোট ভোট সংখ্যা (৫২৫৫) সাক্কু ও সীমার ব্যবধানের চেয়ে কম হওয়ায় তা মেয়র পদে ফলে কোনো প্রভাব রাখছে না।

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। নগরীর টাউন হলে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল।

বৃহস্পতিবার শুধু কুমিল্লাবাসী নয়, সারাদেশের মানুষ দেখল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের সাবলীল আয়োজন। কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার পাশাপাশি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভোট গণনা শেষে বেসরকারী ফলও ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের। ফল ঘোষণার পর গভীর রাত অবধি বিজয় উৎসবে মেতে থাকেন সাক্কু সমর্থকরা।

বাবার পর মেয়েরও হার!
প্রসঙ্গত, এর আগে, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনেও মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলেন সাক্কু। ওই নির্বাচনে সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে তিনি সীমার বাবা অ্যাডভোকেট আফজাল খানকে পরাজিত করে কুসিকের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নির্দলীয় সেই নির্বাচনে হাঁস প্রতীকের সাক্কুর সঙ্গে আনারস প্রতীকের আফজলের ভোটের ব্যবধান ছিল ২৯ হাজার। এবার দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভর করে কুমিল্লায় নগর কর্তৃপক্ষে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন ৪৬ বছর বয়সী সীমা।

এদিকে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের ফলাফলক কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে সীমার বাবা আফজল খান বলেন, ‘রেজাল্টতো গণমাধ্যমে দেখছেন। কী কারণে হারছি সেটাও বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজনের কোন্দলের কারণেই এটা হয়েছে।’

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দলের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার পরাজয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই দায়ী করেন। অন্যদিকে নির্বাচন চলাকালে সীমা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে। সকালে ভোট দেয়ার পর ফলাফল মেনে নেবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, কুসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন। রিটার্নিং অফিসারের দেয়া তথ্য মতে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নির্বাচনে ৬০ শতাংশের ওপরে ভোট পড়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদ ছাড়াও ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৪০ জন ও ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2088755465373056506

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item