উলিপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিফিনের বিস্কুট কালোবাজারে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার নতুন অনন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া শিশুদের টিফিনের বিস্কুট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিমাসে এ বিস্কুট বিক্রি করে প্রধান শিক্ষকের আয় হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। অথচ সরকারি এ বিস্কিটের উৎপাদন ব্যয় কয়েকগুন বেশী। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবীতে শনিবার অভিভাকরা মানববন্ধন কর্মসুচি ঘোষনা করেছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোখলেছুর রহমান জানান, নতুন অনন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি সেল্ফে বিক্রির জন্য লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্টুন বিস্কুট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থী অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার শিশুদের পুষ্টির অভাব পুরণ ও শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এ কর্মসুচী চালু করেন। অভিযোগ রয়েছে জেলার উলিপুর উপজেলার ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সিমু সুলতানা যোগদানের পর থেকে কৌশলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাগজ কলমে অতিরিক্ত দেখিয়ে প্রতিমাসে ২৫ থেকে ৩০ কার্টুন বিস্কুট বেশী উত্তোলন করেন। এসব বিস্কুট সুযোগ বুঝে দুর্গাপুর ও যতিনের হাট বাজার এলাকার বিভিন্ন পরিচিত দোকানে বিক্রি করে আসছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গত বৃহস্পতিবার দুপুওে স্কুলে এসে লুকিয়ে রাখা এ বিস্কিট উদ্ধার করে। পওে তা প্রধান শিক্ষকের জিম্মায় রাখা হয়।
অভিযোগে জানাযায়,গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়টির ষ্টোর রুম থেকে অতিরিক্ত ১৬ কার্টুনে ১৬শ প্যাকেট বিস্কুট পাশ্ববর্তী রুমের সেলফে লুকিয়ে রাখার সময় স্থানীয় লোকজন দেখেফেলে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি তা অস্বীকার করেন। এতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার সংগঠিত হয়ে স্কুলে তল্লাসী চালিয়ে এসব উদ্ধার করেন।
এ সময় প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক স্থানীয় অধিবাসী ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। বিস্কুটের স্টক রেজিষ্টারে হালফিল (সঠিক) পেলেও অন্য একটি রুমে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্টুন অতিরিক্ত বিস্কুট পাওয়া যায়। যা কালবাজারে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল বলে সবার অভিযোগ ।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সিমু সুলতানা কোন সদউত্তর দিতে পারেনি।
অভিভাবক আল ইমরান মানিক অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক সিমু সুলতানা’র বাড়ি ফরকেরহাট কৈকুড়ি এলাকায়। সে শিক্ষার্থীদের এসব বিস্কিট দুর্গাপুর, যতিনেরহাট, ফরকেরহাট ও কৈকুড়ি এলাকায় পরিচিতজনদের কাছে প্যাকেট প্রতি ৫/৬টাকা দরে বিক্রি করেন। তার এ দুর্নীতির ব্যাপারে একাধিকবার শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে শনিবার এ ঘটনার বিচারের দাবিতে স্কুলের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে.এম তৈৗফকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, শনিবার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি।

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 6251946134089983412

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item