ডিমলা হাসপাতালে সরকারী ঔষধ পাচারকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়-
নীলফামারী জেলার ডিমলা হাসাতালের সরকারী ঔষধ চুরি করে পাচারের মূল হোতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকালে সিপিবি ও বাসদের ডাকে সাধারন মানুষজন  মানববন্ধন ও সমাবেশ  করেছে। ডিমলা সদরের স্মৃতি অম্লান চত্বরে মানববন্ধন চলাকালিন সমাবেশে বক্তব্য দেন বিভুতি চরণ রায়, মনিসিংহ রায়, রমেন রায় এবং বাসদনেতা ডাঃ সৈয়দ লিটন মিয়া তালুকদার প্রমুখ।  বক্তরা অভিযোগ করেন পুলিশের মামলায় হাসপাতালের ষ্টোর কিপার মোবারক আলীকে আসামী না করায় ও ঘটনাটি তদন্তের ডিমলা হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক দিয়ে তদন্তে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
মানববন্ধন ও সমাবেশ  শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ ডিমলা হাসপাতালে কর্মরত সহকারী কম্পাউন্ডার সফিয়ার রহমান (৩৭) চাকুরী হতে বরখাস্ত করেছে। তবে এ ঘটনায় ডিমলা হাসপাতালের স্টোর কিপার মোবারক আলীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে। 
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ ঔষধ ভান্ডার তদন্তের জন্য তিনটি তদন্ত টিম গঠন করে দিয়েছেন।
উল্লেখ যে গত মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা থানা পুলিশ উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রূপাহারা গ্রামের মমিনুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ৩৩০পিচ সরকারী ঔষধ উদ্ধারসহ মমিনুর রহমানকে (৩৫) গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬ (২) ধারায় গ্রেফতারকৃত মমিনুরসহ ৩জনকে আসামী করে মামলার দায়ের করেন। মামলা আসামীরা হলেন হাসপাতালের সহকারী কম্পাউন্ডার সফিয়ার রহমান (৩৭) , মাইক্রো চালক বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দরখাতা গ্রামের হামিদুল ইসলামের পুত্র জুয়েল (২৬)।
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ ঔষধ ভান্ডার তদন্তের জন্য ডিমলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদুজ্জামানকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ডিমলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অনুপ কুমার রায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক লোকমান হোসেন। অপরদিকে বহির বিভাগের ঔষধ (আউড ডোর) তদন্তের জন্য ৪ সদস্য আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন আহবায়ক ডিমলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদুজ্জামান, সদস্য সচিব ডাঃ অনুপ কুমার রায়, সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিনা আক্তার ও  স্বাস্থ্য পরিদর্শক লোকমান হোসেন।
নীলফামারী সিভিল সার্জন অফিস সরকারী ঔষধের ঘটনাটি তদন্তের জন্য নীলফামারী হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টটেন্ড জাহাঙ্গীর আলমকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মমর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মমর্তা ডাঃ জেড,এ সিদ্দিকী ও নীলফামারী সিভিল সার্জন অফিসের ডাঃ মনিরুজ্জামান।
ডিমলা হাসপাতালের তদন্ত টিমের আহবায়ক ডাঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালের ঔষধ ভান্ডারটি সিলগালা করা হয়েছে। তিনি জানান কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত চলমান থাকায় কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ৩টি তদন্ত কমিটির সমন্বয়ে সরকারী ঔষধ উদ্ধারের ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন আব্দুল রশিদ বলেন, ডিমলা থেকে বিপুল পরিমান সরকারী ঔষধের ঘটনায় ৩টি পৃথক তদন্ত টিম করছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে কর্মরত সফিয়ার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।#

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item