পানি স্বল্পতা নিয়েই শুরু হলো তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

বারবার আশার প্রদীপ জ্বলে উঠে নিভে যায়। দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প (তিস্তা সেচ প্রকল্প) নিয়ে তিস্তার পানি বন্ঠন চুক্তি বিষয়ে দু দেশের অনেক কথাবার্তা হলেও  সেগুলো শুধু সংলাপ আর স্বপ্নেয় থেকে যায়, বাস্তবে সফলতার মুখ দেখে না। এবারে পানি স্বল্পতা নিয়েই শুরু হলো তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম। এবার চলতি খরিব ১ (বোরো মৌসুমে) রংপুর, দিনাজপুর জেলার কমান্ড এলাকাকে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে সেচ প্রদানে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
এবার বোরো আবাদের প্রয়োজনীয় মুহুতে কমান্ড এলাকায় যে বিশৃখল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তাই সংশি¬ষ্টরা রয়েছেন ভয়ানক দুচিন্তায়। জানুয়ারীর ১ম সপ্তাহে নদীর পানি প্রবাহ আড়াই হাজার কিউসেক থাকলেও বর্তমানে তা কমে ৬/৭শত নেমে এসেছে। তিস্তা নদী এখন শুধু বালুতে রুপান্তরিত হচ্ছে। ২০১৪ সালে এই মৌসুমে দিনাজপুর, রংপুর ও নীলফামারী জেলার ৬৫ হাজার হেক্টরে সেচ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্য মাত্রা ছিল । সেচ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে।
২০১৫-১৬ সালে সেচ প্রদান করা ১০ হাজার হেক্টরে। তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় এবার মাত্র ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। শুধু মাত্র নীলফামারী জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও নীলফামারী সদর এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে সেচের আওতায় রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ৮ শত হেক্টর, ডিমলা উপজেলা ৫ হাজার হেক্টর, জলঢাকায় ২ হাজার হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা ২ শত হেক্টর জমি। নদীতে পানি প্রবাহ কম থাকায় তিস্তা পারের চার্ষীরা সেচ প্রকল্পের পানির আশা ছেরে দিয়ে নিজেরাই সেচ ব্যবস্থা (সেলমেশিন) করেতে বাধ্য হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6846120536802761960

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item