শিক্ষার্থীদের মনে হরিপুরের বকুয়া প্রা: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক -

জে. ইতি হরিপুর, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

পিতা-মাতা সন্তান জন্ম দেন । শিক্ষা নেওয়ার জন্য সন্তানকে স্কুলে পাঠান শিক্ষকের কাছে। শিক্ষক দায়িত্ব নেন শিক্ষা দেওয়ার। ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষা নেন এবং শিক্ষক শিক্ষা দেন।
শিক্ষাগুরু সন্তানদের স্নেহ ভালোবাসা দিয়েই শিক্ষা দেন এবং শিক্ষার্থীর মনে পিতার আসনের চেয়েও যেন বেশি কিছু দখল করে নেন। শিক্ষক স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে সময়ে সময়ে, স্নেহময় শাসন করে শিক্ষার্থীকে জ্ঞান দান করে চলেন, শিক্ষার্থী তা অর্জন করে গড়ে তোলেন নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য। মানুষের মত, মানুষ হওয়ার জন্য তা ধারণ করে এগিয়ে যান সামনের দিকে। ছোট শিশুর মনে শিক্ষকের স্থান এত বেশি বিস্তৃত যে, সে শিক্ষকের আদেশ পিতা-মাতার নির্দেশের চেয়েও বেশি পালনীয় হিসাবে গ্রহণ করে।
জ্ঞান গ্রহণ ও প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তার এমনি চিত্র পাওয়া গেছে, ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। প্রধান শিক্ষক শাহনেয়াজ জামান এমনি একজন শিক্ষক, যার শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে অমর হয়ে থাকবে। আজ রবিবার দুপুর ১.২০ মিনিট সময়ে স্কুলের মাঠে ৫/৭ জন দলবেধে টিফিন কেরিয়ারে টিফিন নিয়ে খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ঠিক ঐ সময় আমাদের প্রতিনিধির চোখে পড়ে না ভূলার শিক্ষক মর্যাদার গল্প। স্যার, আমাদের শুধু লেখাপড়া শিক্ষাচ্ছে না, কিভাবে খাবার খেতে হবে সেটাও শিখিয়ে দিচ্ছে। কথা গুলো বলেছিল ৩য় শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ নূর নিহার।
টিফিনের সময় নিয়ম হলো আগে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা, তারপর ৫/৭ জন দলবেধে শিক্ষার্থীরা গোলাকার করে বসবে। তারপর খাবারের শুরুতে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে খাবার খেতে হবে। এ ধরনের শিক্ষাগুরুর শিক্ষা হরিপুর উপজেলার প্রত্যেক স্কুলে হওয়া উচিত বলে মনে করেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ গণ।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2943586010724179023

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item