সৈয়দপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন

 তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

সৈয়দপুর উপজেলায় ২০১৬ - ২০১৭ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের শুরু হয়েছে।শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে একযোগে এ কর্মসূচির কাজ শুরু হয়। সকালে উপজেলার ১ নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেলেপাড়ায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শফিউল ইসলাম, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম লোকমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের (পিআইও অফিস) উপ-সহকারী প্রকৌশলী শ্রী নিমাই চন্দ্র রায়সহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সদস্য-সদস্যা ও প্রকল্প কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে পর্যায়ক্রমে উপজেলার খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী প্রতিটি ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকায় গিয়ে এ কর্মসূচির কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য প্রকল্প কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বায়স্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য  কর্মসংস্থান কর্মসূচির জন্য সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি নিয়ে সর্বমোট ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওয়েজ কষ্ট খাতে বরাদ্দ ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, নন-ওয়েজ কষ্ট খাতে বরাদ্দ ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪৫ টাকা এবং সর্দার ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৫০  হাজার টাকা রয়েছে। আর বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থের বিপরীতে প্রতিটি ইউনিয়নের ৫টি করে ২৫ টি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।
আর ৫টি ইউনিয়নে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা হচ্ছে ৯৫৫জন।
ইউনিয়নওয়ারী উপকারভোগীর সংখ্যা হচ্ছে কামারপুকুর ইউনিয়নে ১৭২জন, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে ২১৯ জন, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে  ১৩৯ জন, বোতলাগাড়ীতে ২৫০ জন এবং খাতামধুপুরে ১৭৫ জন।
 প্রতি সপ্তাহের শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উপকারভোগী শ্রমিকরা প্রকল্প এলাকায় কাজ করবেন। মজুরী হিসেবে প্রতিজন শ্রমিক প্রতিদিন পাবেন ২০০ টাকা। তন্মধ্যে প্রতিদিন ১৭৫ টাকা হারে ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে প্রতি বৃহস্পতিবার তাদের মজুরী পাবেন। মজুরী অবশিষ্ট ২৫ টাকা শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে সঞ্চয় জমা থাকবে। কর্মসূচির মেয়াদ শেষে শ্রমিকরা সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।