পঞ্চগড়ে নাবালক বদরুল জামানের বিয়ে ছাড়াই চলছে ঘর সংসার; প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

তোফাজ্জল হোসেন (তোতা মিয়া), পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড় সদর উপজেলার কেচেড়াপাড়া গ্রামের মোঃ বিষ্টু মিয়ার দুষ্ট ছেলে মোঃ বদরুল জামান (১৭) এক সন্তানের মাকে তার স্বামীর সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বিয়ে ছাড়াই ঘর সংসার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগদল সর্দারপাড়া গ্রামের মোঃ সকিন আলীর মেয়ে তার স্বামীর সংসারে বেশ ভালোই ছিল। তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কষ্টে দুঃখে স্বামীর সংসারে দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের সমাজের কিছু চরিত্রহীন লম্পট লোকের কারণে মেয়েদের কপালে নেমে আসে নানা দুর্ভোগ। তেমনটি ঘটেছে জগদল সর্দারপাড়ার গৃহবধূ মুক্তা বেগমের জীবনে তার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে চার লম্পট, তারা হলেন- পঞ্চগড় রেল স্টেশনের বাসিন্দা মোঃ জব্বার (২২), ব্যারিস্টার বাজারের মোঃ সুমন মিয়া (১৮), হ্যালিপোর্টে মোঃ ইউসুফ আলী (২৩) এবং পঞ্চগড় সদরের মোঃ বিষ্টু মিয়ার ছেলে মোঃ বদরুল জামান (১৭)। এরা চারজন মিলে গৃহবধূর মুক্তার জীবনে অশান্তির সৃষ্টির কারণে গৃহবধূ মুক্তা এখন দিশেহারা। এলাকার সূত্রে জানান গেছে, মোঃ আব্দুল জব্বার হ্যালিপোর্টের এম.টি আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের পরিচালক। সে ঐ স্কুলটি পরিচালনা করার পাশাপাশি প্রাইভেটও পড়াতেন। এর মধ্যে মোঃ আব্দুল জব্বারের সাথে মুক্তা বেগমের সাথে দেখা হয়। মুক্তার সাথে দেখা হওয়ার পর শিক্ষক মোঃ আব্দুল জব্বার মুক্তার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ হয়। তারপর একে একে জব্বার তার বন্ধুদের সাথে মুক্তার পরিচয় করিয়ে দেয় এবং মুক্তার মোবাইল নম্বরটিও তার বন্ধুদের দেয়। এরই মধ্যে মোঃ আব্দুল জব্বার তার স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে একটি বনভোজনের আয়োজন করলে সেখানে চার লম্পট মিলে গৃহবধু মুক্তা বেগমকেও দাওয়াত দেয় এবং সাথে নিয়ে তারা সকলেই মিলে তেতুলিয়ার রৌশনপুরের অভিমুখে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তারা মুক্তাকে নিয়ে নানা আপত্তিকর ঘটনা ঘটান এবং অশ্লীল ছবি তোলে ও ভিডিও করে গৃহবধূ মুক্তাকে প্রতারিত করে আসছিল। এই আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটেও ছেড়ে দিলে এ বিষয়ে মুক্তার স্বামী জানতে পারলে গৃহ বধু মুক্তার উপর চরম নির্যাতন করে তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেন। মুক্তা তখন তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বদরুল জামানের বাড়ীতে এসে উঠেছে এবং বিয়ের দাবীও জানায়। তারপরেই শুরু হয় মুক্তার উপর কাল বৈশাখীর ঝড়। লম্পট বদরুল জামান মুক্তাকে দেখে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। শুরু হয় মুক্তার উপর নানা ধরনের নির্যাতন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, মোঃ বদরুল জামান নাবালক আমাদের এ বিষয়ে করার কিছুই নাই, এটা প্রশাসনের ব্যাপার। এখন বিষয়টি ছেলের বাবার বাড়ীতে অবৈধ ভাবে রয়েছে। আর এ জন্যেই এলাকার মানুষের এত কৌতুহল আর গুঞ্জন থামছে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামান করেছেন

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 3124682540560598135

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item