জাপানী নাগরিক কুনিও হত্যাকান্ড তিন পুলিশ সাক্ষীর প্রতি আদালতের ক্ষোভ

মামুনুররশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যা মামলায় অষ্টম দিনের শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারক। আট সাাক্ষীর মধ্যে তিন পুলিশ সদস্য আদালতে উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ জানিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার কিছু আগে শুরু হওয়া স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় বেলা সোয়া ১২ টার দিকে।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথিশ চন্দ্র বাবু সোনা সাংবাদিকদের জানান, ‘অষ্টম দিনে কুনিওকে জমি লিজ দেয়া শাহজাহান আলীসহ সাত পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য জামাল উদ্দিন, সবুজ সরকার ও মিন্টু চন্দ্র ভৌমিক আদালতে আসেননি। এ ঘটনায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে এই তিন সাক্ষীসহ ১২ জন সাক্ষীকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থিত করতে নির্দেশ দেয়।’আলোচিত এই মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ার কাচু আলুটারি গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও। নয় মাস পর তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী গত ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে আটজনকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, হোশি কুনিওকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করেন জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা। মোটর সাইকেলে তারা তিনজন ছিলেন।অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর এই হত্যা মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়। আর সাক্ষগ্রহণ শুরু হয় ১৫ নভেম্বর থেকে।রংপুরে হোশি কুনিয়ে গরুকে খাওয়ানোর জন্য ঘাষ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় শাহজাহানের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়েছিলেন। আদালতে শাহজাহান জানান, তার কাছে রংপুরের হুমায়ন কবীর হিরার মাধ্যমে এক বছরের জন্য জমি ভাড়া নেন হোশি কুনিও। প্রথমে সেখানে মশা মারার জন্য কয়েল তৈরির কথা থাকলেও পরে সেখানে বিদেশি ঘাস চাষ করেন তিনি। প্রতিদিন সকাল দশটার দিকে ওই জমিতে যেতেন আর বিকাল চারটার দিকে বাসায় ফিরতেন। তার সাথে স্থানীয় কিছু দিনমজুর কাজ করত।

শাহজাহান জানান বলেন, ঘটনার দিন বেলা ১১ টার দিকে জানতে পারেন হোশি কুনিও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।শাহজাহান বলেন, ‘আমি পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি খুনিরা রংপুরর নুরপুরের আব্দুল আজিজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ’আদালতে আজ আরও সাক্ষ্য দেন নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক দিলীপ কুমার রায়, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার উপপরিদর্শক জহুরুল ইসলাম, বগুড়া জেলার গাবতলী থানার উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন ও রংপুরের মিঠাপুকর থানার উপপরিদর্শক আশিকুর রহমান।

পুরোনো সংবাদ

এক ঝলক 8166691058154951251

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item