কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে নিয়ম বর্হিভূর্তভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে নিয়ম বর্হিভুতভাবে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে অর্ধকোটি  টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলেজটি জাতীয় করন ঘোষনার পর এসব শিক্ষক কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গর্ভণিং বডির সাবেক প্রভাভশালী তিন সদস্য। এছাড়াও ওই কলেজের একজন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক একই সনদ দিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ২৮ আগষ্ট কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ সহ দেশের ৬৩ টি কলেজ জাতীয়করন করা হয়। পরিপত্র মতে জাতীয় করন ঘোষনার পর ঘোষিত তারিখ থেকে এসব কলেজের স্থাবর- অস্থাবর সম্পতি হস্তান্তর ব্যাংক লেনদেন ও কোন প্রকার শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবেনা কলেজ কর্তপক্ষ।কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ গর্ভণিংবডির সভাপতির সাথে যোগসাজস করে কলেজ জাতীয়করন ঘোষনার পর একই দিনে (পুর্ববর্তী) তারিখ দেখিয়ে সৃষ্ঠ পদে দুইজন প্রভাষক ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে একজনকে নিয়োগ প্রদান করেন। প্রভাষক দুইজন হলেন মিজানুর রহমান ও মোছাঃ লাকী বেগম। এদের যোগদানের তারিখ দেখানো হয়েছে ২৯/১/২০১৫ এবং ৪/৫/২০১৫। অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী আদনান বিন আমিনুল অধ্যক্ষের আপন শ্যালকের যোগদানের তারিখ দেখানো হয়েছে ১৭/৮/২০১৬।
গর্ভনিং বডির সদস্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের কমিটির মেয়াদ ছিল ২০/৫/২০১৫ তারিখ পর্যন্ত। এসময় যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মিজানুর , লাকী বেগম ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে আদনান বিন আমিনুল নামে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ রেজুলেশনে গ্যাফ রেখে জালিয়াতি করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের নিয়োগ দিয়েছে।
অপর সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এছরারুল হক বলেন, নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক দ্বয় ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারীকে আমাদের কমিটির মেয়াদ থাকাকালিন তাদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাদের আমি চিনিনা এবং জানিনা। কলেজে তাদের কোনদিন দেখাও যায়নি।
বিশিষ্ট ওযুধ ব্যবসায়ী গর্ভণিং বডির সাবেক সদস্য আব্দুর রউফ বাদশা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ কলেজ জাতীয়করন ঘোষনার পর  গর্ভণিং বডির সভাপতির সাথে যোগসাজস করে তড়িঘড়ি করে পূর্ববর্তি তারিখ দেখিয়ে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। এ জালিয়াতির নিয়োগে অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বিধি লঙ্ঘন করে তিন প্রার্থীর কাছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে কলেজ গর্ভনিং বর্ডির সভাপতিকে ম্যানেজ করে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও অধ্যক্ষ ইংরেজি শিক্ষিকা সবুজা আক্তার হাসি কলেজে নিযোগ থাকলেও তিনি কলেজে আসেননা। কিন্ত কাগজে কলমে তাকে উপস্থিত দেখানো হয়। এতে করে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজি ক্লাস করতে পারছেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, কলেজ অধ্যক্ষ গর্ভণিং বর্ডির সভাপতিকে ম্যানেজ করে বর্ডির  সদস্যদের বোকা বানিয়ে ২০১৫ সালের নিয়োগের রেজুলেশনে তাদের নিয়োগ দেখিয়েছে। কিন্তু তারা কলেজে যোগদানের পর সবাই অবাক হয়েছে।
এছাড়াও সাবেক গর্ভনিং সদস্যগন আরো জানান, এ কলেজে নিয়ম বলে কিছু নেই, ইংরেজি বিভাগের একজন প্রভাষক সবুজা আক্তার হাসি একই সনদ দিয়ে দুটি সরকারী প্রতিষ্টানে চাকরী করছেন। এ প্রভাষক পানিয়াল পুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫/২/২০০৯ সালে যোগদান করেন। ওই বিদ্যালয়ে চাকুরী করার পরেও কলেজ অধ্যক্ষ গর্ভনিং বর্ডির সভাপতিকে দিয়ে  তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কলেজে নিয়োগ দেন ১/২/২০১৫ সালে । তাদের প্রশ্ন একই ব্যাক্তি দুটি সরকারী প্রতিষ্টানে  চাকুরী করছেন কোন খুটির জোড়ে।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন , আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রভাষকদ্বয় ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারীকে বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গর্ভণিং বডির সভাপতি নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৈীধুরীর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন তোমার যা লেখার লেখ আমি ঘুমাচ্ছি আমাকে ডিস্টাব করনাতো।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6742662642314651878

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item