কিশোরগঞ্জে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যেক্তাকে পিটিয়েছে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যর ছেলে

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা ঃ
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমানকে (২৫) কিলঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে নারী ইউপি সদস্য সামসুন্নাহারের ছেলে সোয়েব আলী (২৮)। সোমবার সকাল ১১টার এই ঘটনায় আহত হাবিবুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে উক্ত ইউনিয়নের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য ৩৬৫ জনের  দুই বছর মেয়াদের দুঃস্থ্যমাতা কার্ড (ভিডিজি) বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদের মিটিংয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছার রহমান ৯ ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য ও  তিনটি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্যদের কোটার অংশ ভাগ করে সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করেন। উক্ত নামের তালিকা কম্পিউটারে টাইপ করার জন্য দেয়া হয় ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমানকে।  এ সময় সেখানে উপস্থিত হয় উক্ত ইউনিয়নের ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য সামসুন্নাহারের ছেলে সোয়েব আলী। সে তার মায়ের দেয়া তালিকা হতে একটি নাম নেই কেন জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান জানায় চেয়ারম্যানের দেয়া তালিকায় ওই নাম নেই। কিছু জানতে চাইলে চেয়ারম্যানকে বলুন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে নারী ইউপি সদস্যের ছেলে তার উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এতে নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে হাবিবুর রহমানের। এ ঘটনা ঘটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর হতে পালিয়ে যায় সোয়েব। ইউপি চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য সদস্যরা এসে হাবিবুরকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাংবাদিকরা ঘটনাটি নিয়ে উক্ত নারী ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলার চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছার রহমান জানান একটু ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা  বসে সমাধান করবে। এটি পরিষদের নিজস্ব ব্যাপার।
  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মেহেদী হাসান বলেন ঘটনাটি জানতে পেরে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানার ওসিকে বলেছি।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি  বজলুর রশীদ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে অবগত করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।