কিশোরগঞ্জে ২১০ মাধ্যমিক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই

 মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭ টি দাখিল মাদ্রাসা ও ১৬৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭ টি দাখিল মাদ্রাসা ও ১৬৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। অথচ সরকারী ভাবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলার  মাধ্যমিক, দাখিল ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। তবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুরে গিয়ে কোন শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধান্জলি জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে  কিশোরগঞ্জ সদরে ৪ টির মধ্যে ৩টি, চাঁদাখায় ২ টির মধ্যে ১ টি, মাগুড়ায় ৪ টির মধ্যে ৩টি, গাড়াগ্রামে ৭ টির মধ্যে ২ টি,রণচন্ডিতে ২ টির মধ্যে ১ টি, বড়ভিটায় ৩ টির মধ্যে ২ টি, নিতাই ৩ টির মধ্যে ১ টি, বাহাগিলি ২ টির মধ্যে ১ টি , ও পুটিমারীর ৩ টির মধ্যে কোনোটিতেই শহীদ মিনার নেই। এছাড়াও উপজেলার  বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৭ টি দাখিল মাদ্রাসা থাকলেও একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এদিকে  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ টি ক্লাস্টারের মধ্যে শরিফাবাদ ক্লাস্টারে ২৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ১ টি বিদ্যালয়ে ,বড়ভিটা ক্লাস্টারে ২১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ১ টি বিদ্যালয়ে ,রনচন্ডি আফতাব ক্লাস্টারে ২২ টি , পানিয়াল পুকুর ক্লাস্টারে ২৭ টি , মুশা ক্লাস্টারে ২২ টি , সিঙ্গেরগাড়ী ক্লাস্টারে ২৭ টি , ভেড়ভেড়ি ক্লাস্টারে ৩৩ টি সহ মোট ১৬৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।
কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম বলেন, বিদ্যালয়ের তৎকালিন প্রধান শিক্ষক  হাফিজ উদ্দিন স্যার প্রায় ২৫ বছর আগে প্রতিষ্টানের নিজ তহবিল থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মান করেছিলেন কিন্তু বর্তমানে সেটি জরার্জীণ। তাই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ শহীদ মিনারে যেতে হয়। তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার সরকারের কাছে আমার দাবি যেন প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি করে শহীদ মিনার নির্মান করে দেয়।
উত্তর দুরাকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিটন মিয়া বলেন, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয় গুলোতে বিভিন্ন অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। যদি শহীদ মিনার নির্মানের জন্য বরাদ্দ দেয় তাহলে শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, সরকারী ভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য কোন বরাদ্দ দেয়া হয়না। তাই শহীদ মিনার নির্মান করা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারেনা।  এ উপলক্ষে বিদ্যালয় কতৃপক্ষের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা ২১ ফেব্রয়ারী পালন করেন। তবে কয়েকটি বিদ্যালয়ে প্রতিষ্টানের নিজ অর্থায়নে শহীদ মিনার স্থাপন করেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানের সাথে কথা বলতে তার অফিসে গেলে তিনি অফিসে না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5288803571645596548

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item