জলঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কি অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া ?

নিজস্ব প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারী॥
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যালয়টি দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দূর্নীতির ধারাবাহিকতায়  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক সরকারী বই কালো বাজারে বিক্রী করার সময় অফিস পিয়নসহ দুজনকে হাতে-নাতে আটক করা হয়। আটকের নেতৃত্ব দেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. রাশেদুল হক প্রধান। কিন্তু তাদের আবার ছেড়ে দেয়ার ঘটনা নিয়ে জলঢাকার সচেতন মহল চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় গতকাল রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী)  দুপুরে জলঢাকা পৌর শহরের ডালিয়া সড়কের বটতলী এলাকায় শাহিনুর হক শাহিন এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পিয়ন সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বিপুল পরিমান মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ হতে দশম শ্রেনীর সরকারের দেয়া বিনামূল্যে বিতরনের জন্য পাঠ্যপুস্তক একটি রিক্সা ভ্যান করে বিক্রী করতে নিয়ে যায়। এ সময়  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে  অফিস পিয়ন সাজ্জাদসহ ওই দোকানের এক কর্মচারীকে আটক করেন।আটককৃত দুজনকে পুলিশের হাতকড়া পড়িয়ে ভ্যান ভর্তি বইসহ জলঢাকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যায়। এরপর  তাদেরকে ছেড়ে দেন।
সরকারের দেয়া বিনামুল্যে বিতরনের জন্য পাঠ্য পুস্তক কালোবাজারে বিক্রির সময় প্রকাশ্যেই ধরা পড়ার পর তাদের ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় জলঢাকার সচেতন মহল চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন এটি সুুষ্ঠু তদন্ত করা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ-উদ-জামান সরকারের জরিত থাকার বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়বে।
তবে জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ-উদ-জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন , বই রাখার ষ্টোরের  চাবি তার  কাছেই ছিল। অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে কিছু বিদ্যালয়ের বই বিতরণের জন্য অফিসের পিয়ন সাজ্জাদকে স্টোরের চাবি দিয়েছিলাম। সে এ কাজ করবে বুঝতে পারিনি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. রাশেদুল হক প্রধান জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3347332968551387078

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item