শহীদ দিবসে জলঢাকায় লাঠি মিছিল।আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা।

বিশেষ প্রতিনিধি ২১ ফেব্রুয়ারী॥ আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ও অমর একুশের শহীদ দিবসে লাঠি মিছিল সহ শহীদ মিনারে গিয়ে পুস্পমাল্য অর্পনের শোডাউনের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে দলের অভ্যন্তরিন কোন্দলে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ দিবসটি পালনে পৃথকভাবে কর্মসুচি ঘোষনা করে। ফলে কৌশল নিয়ে একে অপরকে ঠেকাতে  বড় বড় মোটা লাঠির উপর ছোট ছোট কালো পতাকা বেধে মিছিলের শো-ডাউন করা হয়।
জানা যায়, জলঢাকার আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা সঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের দ্বন্দ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে জলঢাকা পৌর আওয়ামী লীগ সমর্থন করছে সংসদ সদস্যের পক্ষে। ২১ ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠান পালনে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ পৃথক কর্মসুচি ঘোষনা করায় উত্তেজনা সৃস্টি হলে, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দফায় দফায় দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ফলে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে জলঢাকা জুড়ে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ২১ ফেব্রুয়ারীর দিন সকাল ৯টায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পন করে কলেজ মাঠে আলোচনা সভা করা হয়। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টুর ডালিয়া রোড সংলগ্ন নিজস্ব ব্যবসায়ী ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। এরপর সকাল এগারোটায় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি .সাধারন সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল ও যুবলীগ নেতা আব্দুর ওয়াহেদের নেতৃত্বে  হাতে লাঠি নিয়ে   বিভিন্ন স্লোগানে শহরে মিছিল বের করে। এসময় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠি ছাড়া  মিছিল করতে অনুরোধ করলেও তা উপেক্ষিত হয়। ওই লাঠি মিছিল সহ তারা দুপুর ১২টার দিকে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পন করে শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভা শুরু করে। ওই সভায় আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন জলঢাকা পৌর বিএনপির দুই নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জোনাব আলী, পৌর বিএনপির নেতা আবুল বাশার মিন্টু। অভিযোগ বক্তারা ভাষার মাসের উপর বক্তব্য না দিয়ে স্থানীয় এমপির সমালোচনা করতে ব্যস্ত থাকে। এমন কি আলোচনা সভার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসার আলী মিন্টুও একইভাবে বক্তব্য রাখেন।
এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বলেন, ২০০৪ সালে কমিটি করা উপজেলা আওয়ামী লীগের  নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কোন দিবস এলে  দিবসের তাৎপর্য বক্তব্য না নিয়ে নিজেদের  অস্তিত্ব ধরে রাখতে লঠি মিছিল করে সন্ত্রাসী মনোভাব প্রকাশ করছে। ফলে জলঢাকায় আওয়ামী লীগ সাধারন মানুষজনের কাছে সমালোচিত হচ্ছে। তিনি উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি করেন।
 নিজ দলীয় এমপি'র বিরুদ্ধে বিষোদগার এবং অমর একুশে লাঠি নিয়ে মিছিল প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আনছার আলী মিন্টু বলেন, আমরা লাঠি মিছিল করিনি। কারা লাঠি নিয়ে মিছিলে প্রবেশ করে তা জানি না। ফলে কার হাতে লাঠি ছিল তা দেখিনি। আর নিজ দলীয় এমপি দলের চেয়ে জামায়াত শিবিরকে প্রতিষ্ঠিত করছে বলে বক্তারা সমালোচনা করতে পারে। আওয়ামী লীগের মিছিল ও আলোচনা সভায় বিএনপি নেতাদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদেরমধ্যে আবুল বাশার তার নিজস্ব অনুষ্ঠান করেছে। আর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জোনাব আলী এখন প্রজন্ম লীগে যোগদান করেছে।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল বলেন লাঠি মিছিল নয়। এটা শোক মিছিল ছিল। আর শোক মিছিলে কালো পতাকা লাগানো ছিল। যারা লাঠি মিছিল বলছে তারা অপপ্রচার করছে।
 জলঢাকা থানার ওসি  মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আ.লীগের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় এখনও জলঢাকায়  অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোবাইলে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি ঢাকায় রয়েছেন জানিয়ে বলেন অমর একুশের আলোচনা সভায় নিজ দলীয় নেতারা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে বলে জানতে পেরেছি।বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে অবগত করবো।
তিনি বলেন ওই সব নেতারা দলের এবং দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন নিয়ে কোন কথা বলে না জনগনের কাছে। তারা নিজেদের উন্নয়নে ব্যস্ত ।  তিনি আরও বলেন,  উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ২০১৯ সালে নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় জয় করতে হবে এর কোন বিকল্প নেই।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 134655242984360518

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item